রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে জিরো টলারেন্সে দেখছে সরকার। তাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অতিদ্রুত শিক্ষক হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে রাবিতে শিক্ষক-ছাত্র-সুধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এবং এটা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, খুব দ্রুত শিক্ষক হত্যাকারীরা বিচারের মুখোমুখি হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। রাবি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে গতকাল এ সমাবেশের আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও এ সমাবেশে অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, রাবির উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। হত্যাকাণ্ডের ২২তম দিনে অপরাধীদের খুঁজে বের করা বা আইনের আওতায় আনার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। একের পর এক শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শঙ্কিত শিক্ষকসমাজ। তাই আমরা কথার ফুলঝুরি নয়, দৃশ্যমান অগ্রগতি চাই। শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচারে অনীহা নয়, প্রয়োজন অ্যাকশন।’ বক্তাদের প্রশ্ন এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের বিবরণে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘হত্যাকারীদের শনাক্ত করে কাঠগড়া পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নীরব নেই। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কাজ চলছে এবং আমরা খুত দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। তাই আপনাদের পুলিশের ওপর ভরসা রাখতে হবে।’