রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেশে সাংবিধানিক সংকটের পরিস্থিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সাংবিধানিক সংকটের পরিস্থিতি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। সংসদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে, তাতে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পরিস্থিতি হয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট মোকাবিলার পথ বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে ২০-দলীয় জোটের শরিক দল এনপিপি এ সভার আয়োজন করে। এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্তজা, বিএনপি নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি প্রমুখ বক্তব্য দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের উন্নয়নের বিষয়টিকে মিথ্যা প্রচারণা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন যা কিছু হয়েছে, তা সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, চলমান সংকট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। সে নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনও প্রয়োজন। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ভিন্ন কায়দায় একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি। ক্ষমতাসীনরা শত শত কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, শুধু হয়রানি নয়, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সরকার খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়িন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।

সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বাংলাদেশ : এ ছাড়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের আমলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এখন সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দেশে সন্ত্রাসীদের চরম দৌরাত্ম্যে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। অপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করতে ব্যর্থতার কারণেই বর্তমান সরকারের আমলে অপরাধ সংঘটনে সন্ত্রাসীরা আরও বেশি মাত্রায় উৎসাহিত হচ্ছে। বিবৃতিতে গতকাল কুমিল্লা সদর উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলাম মুকুলকে গুলি করে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, দেশে মানুষ খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। হত্যা, গুম, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুপ্তহত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুকুলকে গুলি করে হত্যার ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। দেশকে সন্ত্রাসের কবল থেকে উদ্ধার করতে সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটারবিহীন সরকারকে অপসারণ এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও জনগণের নিকট দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। অবিলম্বে তিনি মুকুল হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর