বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
ফারুক হত্যা মামলা

এমপি রানাসহ ১০ জনের অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে আদালত। সেই সঙ্গে সব আসামির অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হচ্ছেন এমপি রানার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁতভাঙা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চান, নাসির উদ্দিন নূর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান। এর আগে ৬ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা হাজির না হওয়ায় গতকাল আদালত এ আদেশ দেয়। সেই সঙ্গে সব আসামিকে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে আদালতে হাজিরেরও নির্দেশ দেয় আদালত। টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক ১০ আসামির মধ্যে নয়জনের মালামাল ক্রোকের আদেশ টাঙ্গাইল থানায় এবং বাকি একজনের আদেশ কালিহাতী থানায় পাঠানো হবে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আসামিদের মালামাল ক্রোকের আদেশ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি।’ ৩ ফেব্রুয়ারি ওই ১০ জনসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে চারজন জেল হাজতে রয়েছেন। এরা হচ্ছেন আনিছুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, সমীর মিয়া ও ফরিদ আহমেদ। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তার ছোট ভাই বাপ্পা তাদের কলেজপাড়ার বাসভবনের কাছে গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে আসামি আনিছুল ইসলামের মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে আনেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ফারুককে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান। শৌচাগার থেকে ফেরার পথে এমপির ঘনিষ্ঠ কবির হোসেন পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। এরপর এমপি আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবির মৃতদেহ ফারুকের বাসার সামনে ফেলে আসেন।

সর্বশেষ খবর