শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

লাইসেন্সবিহীন ১৩ প্রতিষ্ঠানের ভয়ঙ্কর প্রতারণা

বিএসটিআইর বিশেষ অভিযান, মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএসটিআইর লাইসেন্স নেই। অথচ বিএসটিআইর লোগো ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভয়ঙ্কর প্রতারণা করে আসছিল পেপার মিলস, ইউপিভিসি পাইপস ও মশার কয়েলের ১৩টি কারখানা। শুধু তা-ই নয়, এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দরপত্রে অংশগ্রহণও করে আসছিল নিয়মিত। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অনেকটা ফ্রি-স্টাইলেই যেন চলছিল তাদের ব্যবসা। গতকাল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে

বিএসটিআইর একাধিক দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে এমন ১৩টি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পায়। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বিএসটিআইর কর্মকর্তারা। বিএসটিআইর পরিচালক (সিএম) রেজাউল করিম বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন সময় সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়া হয়েছিল। মৌখিকভাবেও তাদের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়েই আমরা অভিযান চালিয়েছি। এখন আদালতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’ বিএসটিআই সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে পরপর তিন দিন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে বিএসটিআইর পরিচালক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। হাতেনাতে তারা ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মসহ প্রতারণার প্রমাণাদি জব্দ করার পর সংশ্লিষ্ট জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মেসার্স সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, গঙ্গানগর এলাকার মেসার্স ক্রিয়েটিভ পেপার মিলস, হাটাব এলাকার মেসার্স পূর্বাচল পেপার মিলস ও মুড়াপাড়া এলাকার মেসার্স লিনা পেপার মিলস। গাজীপুরে মেসার্স ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লি., মেসার্স কারিশমা বাংলাদেশ প্রা. লি. ও মেসার্স খোরশেদ মোল্লা মশার কয়েল কারখানা। ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের মেসার্স প্রমা গ্রিন সিন্ডিকেট প্রা. লি., মেসার্স বিকে পাইপস, মেসার্স সাফা কেমিক্যাল, মেসার্স জারা কেমিক্যাল ওয়ার্কস অ্যান্ড ইলেকট্রিক এবং মেসার্স ম্যাগপাই ইন্টারন্যাশনাল লি.। সূত্র জানায়, বিএসটিআইর সিএম লাইসেন্স গ্রহণ না করে ওই সব পণ্য উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণ করায় ‘বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫ এবং সংশোধিত (আইন) ২০০৩’-এর ২৪ ধারার পরিপন্থী এবং ৩১এ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগনামা মামলা হিসেবে আমলে নেওয়ার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসটিআইর ফিল্ড অফিসার (সিএম) মাজহারুল ইসলাম ও রেজানুর রহমান বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। লেখা ও ছাপার কাগজ উৎপাদনকারী ওই চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের গুণগত মান যাচাই ব্যতীত ও বিএসটিআইর লাইসেন্স গ্রহণ না করেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহ করে আসছিল।

সর্বশেষ খবর