সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঈদের পর লন্ডন যাবেন খালেদা

দেখা হবে মা-ছেলের

মাহমুদ আজহার

ঈদুল ফিতরের পর লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে পরামর্শ করবেন। তিন নাতনি ও দুই পুত্রবধূর সঙ্গেও সময় কাটাবেন। এরপর সেখান থেকেই সপরিবারে পবিত্র হজব্রত পালন করে দেশে ফিরতে পারেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তার লন্ডন সফরের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভিসা প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান বিএনপি প্রধান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুই মাস সময় কাটান। ওই সময় তিনি এক চোখের ছানি অপারেশন করান। শারীরিক চেকআপও করান। এ প্রসঙ্গে গতকাল বিকালে যোগাযোগ করা হলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) লন্ডন সফর কিংবা পবিত্র হজে যাওয়ার কোনো শিডিউল আমরা জানি না। সফর নির্ধারিত হলেই আমরা গণমাধ্যমকে জানাতে পারব।’ তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডনে যাওয়ার আলোচনা আছে। তবে এখনো চূড়ান্ত নয়। এখন কমিটি নিয়ে কাজ করছেন। এটা সূরাহা হওয়ার ওপর নির্ভর করছে লন্ডনে যাওয়া না যাওয়া।’ জানা যায়, বেগম জিয়া এখনো চোখের সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া শারীরিকভাবেও অসুস্থ তিনি। শনিবার মধ্য রাতেও তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসক এসে শারীরিক চেকআপ করে যান। গোড়ালির ব্যথাও বেড়েছে। লন্ডনে চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি শারীরিক চেকআপও করাবেন তিনি। এদিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ার আগেই বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হতে পারে। চলতি মাসেই স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যের নাম ঘোষণা হতে পারে। বাকি কমিটি লন্ডনে যাওয়ার আগেই ঘোষণা করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদের সপ্তাহখানেক পরেই তার লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে। ১৫ রমজানের পর খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে আসেননি। বাসায় থেকেই কমিটি নিয়ে কাজ করছেন। দলের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনে যাওয়ার আগে আংশিক কমিটি দিয়ে যেতে পারেন খালেদা জিয়া। এরপর তিন সপ্তাহ লন্ডনে অবস্থান করবেন। দেশে ফিরে অসম্পূর্ণ কমিটি দেবেন। ওই সময় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এ নিয়ে তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এরপর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে পবিত্র হজ পালন করতে যাবেন বেগম জিয়া। গুলশান কার্যালয় সূত্র জানায়, ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিদের দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছেন বিএনপি প্রধান। ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সন্তানদের সঙ্গেও সময় কাটানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। তাই শারীরিক চেকআপের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেগম জিয়া লন্ডন যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর। খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ আমাকে এ বিষয়ে বলছেন। তবে আমি এ প্রসঙ্গে কিছু জানি না।’

সর্বশেষ খবর