রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটার কিছু পর রাশিয়ার মস্কোতে এই চুক্তি সই করা হয়। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নকশা তৈরিকারী রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রোসাটমের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়। রাশিয়ার পক্ষে রাশিয়া সরকারের উপ-অর্থমন্ত্রী শেরগেই এনাটলিভিচ স্টরচাক ও বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ্য, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে চালু হওয়ার কথা। পরের ইউনিটটি ২০২৩ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এটি একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করব আশা করি। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও অতিরিক্ত সচিব আবুল মনসুর মো. ফায়জুল্লাহ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি করতে খরচ হবে এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার বা এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে এক হাজার ১৩৮ দশমিক পাঁচ কোটি ডলার অর্থাৎ ৯০ শতাংশ ঋণ নেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার কাছ থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি কোনো দেশ থেকে নেওয়া সর্বোচ্চ ঋণ। চুক্তি অনুযায়ী, রূপপুরে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।