রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত পাঁচ

প্রতিদিন ডেস্ক

একরাতে দুটি স্থানে র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে র‌্যাবের গুলিতে তিনজন এবং কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই ডাকাত বলে র‌্যাব ও পুলিশ দাবি করেছে।

চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা আন্তঃজেলা  ডাকাত চক্রের সদস্য দাবি করলেও তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি র‌্যাব। গতকাল গভীর রাতে মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতি করা ১১ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে। র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রাইভেট মাইক্রোবাস ভেবে ডাকাত দল র‌্যাবের গাড়িতে হামলা চালায়। তারা গুলি করে গাড়ির চাকা ফুটো করে দেয়। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে তিন ডাকাত নিহত হয়। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডাকাতদের হামলায় দুই র‌্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন।’

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন মারা গেছেন। পুলিশের দাবি, তারা দুজনই ডাকাত দলের সদস্য। এ সময় ডাকাত দলের ছোড়া বোমায় মিরপুর থানার ওসি কাজী জালালসহ চার কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের গোবিন্দগুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার শহিদ শেখের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩২) ও দৌলতপুর উপজেলার শেনপাড়া এলাকার জামাত মোল্লার ছেলে আশাদুল হক (৪০)। পুলিশ জানিয়েছে, গোবিন্দগুনিয়া এলাকায় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে একদল ডাকাত যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে ডাকাত দল তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। তখর পুলিশ গুলিবর্ষণ শুরু করলে ডাকাতরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি বোমা, একটি বিদেশি পিস্তলসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

সর্বশেষ খবর