রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইসি নিয়োগে লোক দেখানো সার্চ কমিটি গ্রহণযোগ্য নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসি নিয়োগে লোক দেখানো সার্চ কমিটি গ্রহণযোগ্য নয়

ড. এটিএম শামসুল হুদা

নির্বাচন কমিশন নিয়োগে লোক দেখানো সার্চ কমিটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা। এ ক্ষেত্রে লোক দেখানো সার্চ কমিটি গঠন না করে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ড. শামসুল হুদা বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য অনেক যোগ্য ও দক্ষ লোক রয়েছে; তাদের খুঁজে বের করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আগামীতে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হওয়া জরুরি। নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর যে আস্থার অভাব রয়েছে তা দূর করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ভারতের নির্বাচন কমিশনের চেয়ে বেশি হলেও আমরা ভারতের মতো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারছি না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ভালো একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলে এখনই কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’ সার্কভুক্ত দেশসমূহের নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নেপাল ও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনও আমাদের চেয়ে ভালো নির্বাচন আয়োজন করে আসছে।’ তিনি বলেন, সাংবিধানিক নির্দেশনার আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইনি কাঠামো থাকা খুবই জরুরি। তাহলে কমিশন গঠন নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক কমে আসবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হোক এবং সে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠুক, যা প্রধানমন্ত্রীসহ সব দল ও জনগণের প্রত্যাশা। আগামী জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে এলেও নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে, তার সুষ্ঠু সমাধান এখনো হয়নি। সেই লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচন পরিবেশ তৈরি করা আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সুষ্ঠু নির্বাচন শীর্ষক ওই মুক্ত পার্লামেন্টে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর