বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভিন্নমত কখনই সহ্য করতে পারে না। তারা এখন ভিন্ন মোড়কে একদলীয় বাকশালি শাসন কায়েমের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের জায়গাগুলো সংকুচিত করে ফেলেছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ যৌথ সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপি সভাপতি মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখনই কোনো সভা-সমাবেশের আয়োজন করতে চাই, তখনই এ সরকার তার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। আগে পল্টন ময়দানে, মুক্তাঙ্গনে সভা করা যেত। এখন সেগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলে আইন করেছে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষণা দিয়ে দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। আর এখন অঘোষিতভাবে তা করা হচ্ছে। ৭ নভেম্বর সম্পর্কে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘ওই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিনই বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ভিত্তি রচিত হয়েছিল। এই দিনটিকে যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি তারা অনুমতি দেবেন এবং কোনোরকমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না।’ পরে রাজধানীর কচি-কাঁচা ভবন মিলনায়তনে লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় যোগ দেন মির্জা ফখরুল।
