শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পানির স্তরের নিচে নেমেছে জ্ঞানের স্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানির স্তরের নিচে নেমেছে জ্ঞানের স্তর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, দেশে শিক্ষার বিস্ফোরণ হচ্ছে, জিপিএ-৫ পাচ্ছে, গোল্ডেন হচ্ছে। কিন্তু তার ভিতরেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের মতো সমাজে জ্ঞানের মান নেমে যাচ্ছে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ‘বাংলাদেশে এখন জ্ঞানের চর্চা নেই’ উল্লেখ করে বলেন, যারা বিপ্লবী হতে চান, তাদের জ্ঞানের চর্চা করতে হবে। দেশের ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস জানতে হবে। কেবল রেটরিক (বাগাড়ম্বর) কিংবা আড়ম্বর দিয়ে বিপ্লব হয় না। যারা বিপ্লবী, তাদের এত আড়ম্বরের প্রয়োজন নেই। যারা বিপ্লবী তাদের ঐক্য হবে জ্ঞানের ভিত্তিতে, তত্ত্বের ভিত্তিতে। তারা দেশের মানুষকে চিনবে। তিনি বলেন, আজকে সেই রাজনীতি দরকার, যে রাজনীতি সমাজ বদল করতে পারবে। এ জন্য বিকল্প বাম রাজনীতি দরকার। অনুষ্ঠানে তেল-গ্যাস, খনিজ-সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার কোনো জায়গায় আছে, কোনো জায়গায় নেই। নাসিরনগরে সরকারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু হামলাকারীদের খুঁজলে সেখানে সরকারকে পাব। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র সম্পর্কে তিনি বলেন, এই কেন্দ্র করার জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। এটি এমন একটি প্রকল্প, যার নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ওই রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা করতে হলে সেখান থেকে দেড় কোটি মানুষকে সরাতে হবে। আর পারমাণবিক বর্জ্যসহ ওই এলাকার মানুষ নানা ঝুঁকিতে থাকবে। আর লাখো কোটি টাকার ঋণও জনগণকে বহন করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় জোনায়েদ সাকি তার সংগঠনের ভবিষ্যতের কর্মপন্থাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, তাদের আজকের এই সাংগঠনিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গণসংহতি আন্দোলন একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তর হবে। এর কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল, গণসংহতি আন্দোলনের নেত্রী তাসলিমা আখতার প্রমুখ। এ ছাড়া দর্শক-সারিতে গণস্বাস্থ্য  কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ সংগঠনের বিভিন্ন জেলা-ইউনিট থেকে আসা নেতা-কর্মীরা ছিলেন।

সর্বশেষ খবর