বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজউক অনিয়ম করলে দুদক বসে থাকবে না

—নাসির উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজউক সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনিয়ম এবং কোনো ধরনের দুর্নীতি করলে দুদক বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে রাজউকের সেবাবঞ্চিতদের ফলোআপ গণশুনানির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজউকের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে খতিয়ে দেখা হবে। কেউ অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ও রাজউক চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান চৌধুরী। গণশুনানির শুরুতে সেবাবঞ্চিতরা রাজউকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, টাকা ছাড়া রাজউকে ফাইল নড়ে না। প্লট বরাদ্দ, ছাড়পত্র, নকশা অনুমোদন ও ভবন পরিদর্শনের নামে রাজউক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এ সময় উত্তরা তৃতীয় ও পূর্বাচল প্রকল্পের বরাদ্দপ্রাপ্তরা উচ্চৈঃস্বরে অভিযোগ করেন। এতে হলজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুদক ও রাজউক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি কুতুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসার সামনে সরকারি সড়কে ভবন নির্মাণ করায় আমার চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। রাজউককে বিষয়টি অবহিত করেছি। কিন্তু কিছুই হয়নি। নাসির খান নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তার উত্তরার প্লটটি অন্য ব্যক্তির নামে রাজউক বরাদ্দ দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। আমি জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে রাজউকের শরণাপন্ন হই। তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। ঘুষের টাকা না দেওয়ায় বছরের পর বছর ঘুরছি। এভাবে গতকাল ৪২ জন সেবাবঞ্চিত তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। আবার অনেকে অভিযোগ করেছেন বরাদ্দপত্র পেলেও দখল পাননি। অভিযোগ শোনার পর সমস্যা সমাধানে রাজউককে ১৫ দিন থেকে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়।  গণশুনানি শেষে দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন রাজউক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনারা সেবার নামে ধানাই-ফানাই করবেন না। আমরা আর নতুন নতুন কাহিনী শুনতে চাই না। আপনারা সেবার নামে কী করেন, আমরা জানি। রাজউক চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, আমরা সেবাবঞ্চিতদের অভিযোগ শুনলাম। আইন ও বিধি মোতাবেক সবার সমস্যা শিগগিরই সমাধান দেব।

সর্বশেষ খবর