বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নির্বাচনে অংশ নিলেই সাত খুন মাফ হয় না

তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে অংশ নিলেই সাত খুন মাফ হয় না

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিলেই সাত খুন মাফ হয় না। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হলেই আইনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। কেউ এমপি কিংবা মন্ত্রী হলেও যুদ্ধাপরাধ থেকে দায়মুক্তি পান না। যারা অতীতে সামরিক শাসনামলে আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের বিচার করে সাজা দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে আগুন সন্ত্রাসের দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। যারা জ্বালাও, পোড়াও ও মানুষ হত্যা করেছে তাদের এ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। কারণ তারা মাফও    চায়নি, তওবাও করেনি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। ইনু বলেন, গত কয়েকদিন আগে আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় যে অভিযানের ঘটনাটি ঘটেছে। তা নিয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন সময়ের বিবৃতি আমাকে হতবাক করেছে। তারা বলেছে— এটি নাটক কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। এভাবেই জঙ্গি দমনের এ অভিযানকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। তারা আশকোনার জঙ্গিদের সমর্থন করছে। খালেদা জঙ্গির পৃষ্ঠপোষক। আর বিএনপি হলো জঙ্গি উৎপাদনের কারখানা। আমাদের সবাইকে সবার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। এখনো সরকার উত্খাত করার চক্রান্ত অব্যাহত আছে। তাই আমরা এখনো নিরাপদ নই।

জঙ্গি-সন্ত্রাস জিহাদ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। যারা জিহাদ বলে জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছেন তারা এই ধর্মকে কলুষিত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। কারণ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে সন্ত্রাসের নামেই ডাকুন, জিহাদ নয়। আমরা ইসলামের সঙ্গে একে যুক্ত করব না। অনেকে জঙ্গিবাদকে ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। এরা যে রাজনীতিক ব্যক্তি বা দল করছে, তা এক ধরনের অপকৌশল। আমরা তাদের পরিপূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারিনি। তাই এ চক্রটি এখনো ক্রিয়াশীল আছে। অনুষ্ঠানে আখতারুজ্জামান লাবলুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ, মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান ও রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর