আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং করার প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমি মনে করি এই প্রস্তাবটি ইতিবাচক। পৃথিবী এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের তাল মেলাতে হবে। তবে কাজটির সফলতা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের ওপর। তাদেরকে জনগণের আস্থায় আসতে হবে। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমরা মনে করি, আগামীতে নির্বাচন কমিশন যদি দৃঢ় ভূমিকা নিতে পারে—তাহলে ই-ভোটিং করতে পারে। এ ক্ষেত্রে পুরোপুরি না করলেও আংশিকভাবে এর ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন যদি জনগণকে আস্থায় আনতে না পারে তাহলে একটা প্রশ্ন থেকেই যাবে। তবে ই-ভোটিং প্রস্তাবটি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। জাতীয় পার্টিও কি এই প্রস্তাব সমর্থন করে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি এখনো দলীয় ফোরামে কথা বলিনি। তবে এতটুকু বলতে পারব— শতভাগ না হলেও কিছু কিছু বিষয়ে একমত হবে জাতীয় পার্টি।
তিনি বলেন, ই-ভোটিং এর আগে নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, নরসিংদীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় করা হয়েছিল। কাজেই যে কোনো কিছুর ব্যবহারের সাফল্য নির্ভর করে যারা ব্যবহারী তারা কীভাবে এটা ব্যবহার করছেন তার ওপর। নির্বাচন কমিশন যদি সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। কারণ মানুষের যদি আস্থা থাকে, যে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে এবং কারও পক্ষে কাজ করবে না—তাহলে বিষয়টি সঠিক। আবার যদি মানুষের মধ্যে আস্থা না থাকে, তাহলে যতই বড় টেকনোলজি ব্যবহার করি, তাহলে এর সুফল আসবে না। এখানে একটা গলদ থাকতে পারে। কারণ পেপারে (ব্যালট পেপার) একটি ডকুমেন্ট থেকে যায়। কারণ ই-ভোটে কোনো ধরনের ডকুমেন্ট থাকবে না পরবর্তীতে। ফলে এর ব্যবহারের যেমন সুফল আসবে ঠিক তেমনি কুফলও হতে পারে। যদি কোনো কারণে আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয় তাহলে জনগণের মধ্যে সংশয় থাকবে। আগামী নির্বাচনে ই-ভোটিং ব্যবহারে আমাদের দেশের নির্বাচনী কমিশনের এমন সক্ষমতা তৈরি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যে কারণেই হোক বিতর্কিত। তারা প্রথমে যখন শুরু করেছিল তখন ভালো করলেও মাঝখানে বিতর্কিত হয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য সুনাম অর্জন করেছে। মাঝখানের নির্বাচনগুলো জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে—জনগণের আস্থাহীনতা রয়েছে।