শিরোনাম
শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য বাড়বে

ব্যাংককে আফটার চতুর্থ মিনিস্ট্রিয়াল কাউন্সিল সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আশা প্রকাশ করে বলেন, সুবিধা বাড়ার ফলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বা আসিয়ান মুক্তবাণিজ্য এলাকাভুক্ত (আফটা) দেশগুলোর বাণিজ্য এখন অনেক বাড়বে। তিনি জানান, আফটায় সমঝোতার আওতায় শুল্ক সুবিধা প্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৪৮ থেকে ১০ হাজার ৬৭৭টিতে     উন্নীত হয়েছে। যা বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়ক হবে। এতে করে আফটাভুক্ত দেশগুলোতে বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক হবে। ফলে শুল্ক ও বাজার সুবিধা বেড়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বহুগুণে বাড়াবে। গতকালের সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। সভায় বিগত প্রায় ৭ বছর পর বাণিজ্য সমঝোতা স্বাক্ষরিত হওয়া আফটাভুক্ত দেশগুলোকে অভিনন্দন জানান তিনি। এতে আরও বক্তব্য দেন শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী রিশাদ বাথিউডেন, লাওসের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী খিম্মানি ফলসিনা, দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থপ্রতিমন্ত্রী সেং মোক চোই, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নিং ফুকুই, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাগওয়ান্ট সিংবিশনই এবং মঙ্গোলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত টুগসবিলগুন তুমুর্কহুলেজ। এ সভায় আফটার টেরিফ কনসেশন, নন-টেরিফ মেজার্স ও রুলস অফ অরিজিন সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করা হয়।

সভার সভাপতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ সময় আরও বলেন, আফটার ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে পণ্য বাণিজ্যে শুল্ক সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি সেবাখাত, বিনিয়োগ এবং ট্রেড ফেসিলিটেশন বিষয়ে ২০০৯ সালে স্বাক্ষরিত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি দ্রুত কার্যকর করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আফটার এই সভায় সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ৫৯৮টি পণ্যে ১০ থেকে ৭০ শতাংশ এবং এলডিসিভুক্ত দেশের জন্য আরও ৪টি পণ্যে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ, চীন ২ হাজার ১৯১টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ এবং এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য আরও ১৮১টি পণ্যে শূন্য থেকে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, ভারত ৩ হাজার ৩৩৪টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ এবং এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ১৪ থেকে ১০০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ২ হাজার ৭৯৬টি পণ্যে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ এবং এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ৯৬১টি পণ্যে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৫৮৫টি পণ্যে ৫ থেকে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ৭৫টি পণ্যে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ, রাওস ৯৯৯টি পণ্যে ২০ থেকে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মঙ্গোলিয়া ৩৩৩টি পণ্যে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক ছাড় দেবে।

সর্বশেষ খবর