জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল— জাসদ একাংশের সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিক শরীফ নুরুল আম্বিয়া নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধানের চার মূল নীতিতে আস্থাশীল ও দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের নিয়ম মেনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এ ছাড়াও গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে আমি আশাবাদী। রাজধানীর ঝিকাতলায় নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আপিল বিভাগের বিচারপতি, ল-কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং আইন কমিশনের প্রধানদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। সার্চ কমিটির আকার বেশি বড় না করার মত দেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আরও আগেই আইন করা প্রয়োজন ছিল। এ বিষয়ে আইন না হওয়ার দায় আমাদের সবার। আগামী ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ। এই স্বল্প সময়ে আইন করা সম্ভব হবে কি না সে বিষয়ে সংশয় আছে। সে কারণে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করাই ভালো। তিনি বলেন, আমরা চাই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। জামায়াত বাদে সব দলের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন এতে রাজনীতিতে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। রাষ্ট্রপতির ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রপতির অভিজ্ঞতা. দক্ষতা এবং সুবিবেচনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনে তিনি যে পদ্ধতি গ্রহণ করবেন সেটি আমরা মেনে নেব। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমালোচনা করা উচিত নয়। আমি মনে করি, অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা থাকতে হয়। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা সাংবিধানিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন। শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। জঙ্গিবাদের মদদদাতা, অর্থদাতা ও জঙ্গি সৃষ্টিকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে দমন করতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনৈতিক শক্তি জামায়াত-শিবির ও তাদের সৃষ্ট হুজি, জেএমবি, হরকাতুল জেহাদ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীরসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠনই জঙ্গি সৃষ্টিকারী। আর তাদের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি এ তত্পরতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে ইতিপূর্বের ক্রিয়াকাণ্ডে প্রতীয়মান হয়েছে। এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশের কিছু বিভ্রান্ত যুবক যোগ দিচ্ছে। তারা অর্থের মোহে নিজেদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। এ জন্য যারা দায়ী তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।