শিরোনাম
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

সুইজারল্যান্ডের ডাভোস কংগ্রেস সেন্টারে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘লিডিং দ্য ফাইট এগেনস্ট ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক প্ল্যানারি সেশনে গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববাসীকে সমন্বিতভাবে কৃষক, জেলে, কারুশিল্পী এবং নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নিরসনে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। শেখ

হাসিনা বলেন, আমাদের কৃষক, জেলে, কারুশিল্পী, নারীরা দিনকে দিন অধিকতর ঝুঁকিতে পড়ছে। তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার দিকে আমাদের ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কৃষিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কৃষকের কাছে সহজলভ্য করা প্রয়োজন—উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী চাপ সহনশীল জাত উন্নতকরণ ও উদ্ভাবন, পানিসহিষ্ণু ধান উৎপাদন, সৌর বিদ্যুিভত্তিক সেচ পাম্প চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ প্যারিস চুক্তি অনুসমর্থন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায় ও ব্যবসায়ীদেরও ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে কম গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে, অথচ আমাদেরই সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়। লাখ লাখ মানুষ নীরবে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। সমৃদ্ধির জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় দায়িত্ব ভাগ করে নেবে আশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্প আয়ের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্যারিস চুক্তিকে অবশ্যই সামনে এগিয়ে নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে আমরা ৪০০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করি।

রামপাল প্রসঙ্গ : এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর উত্থাপিত একটি ইস্যুর প্রেক্ষাপটে তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বখ্যাত পরিবেশবাদী আল গোরকে বাংলাদেশ সফরে এসে এ প্রকল্প দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, রামপালে কী ঘটছে তা দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসুন এবং নিজেই দেখুন এটি (বিদ্যুৎ কেন্দ্র) পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিনা। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি গোষ্ঠী এ নিয়ে অহেতুক ইস্যু সৃষ্টি করছে। তারা আসলে কী চায় এবং তাদের উদ্দেশ্যই বা কি— তা আমি জানি না। হতে পারে তাদের মনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে।

তিনি বলেন, এই প্ল্যান্ট কেন এবং কীভাবে পরিবেশের ক্ষতি করবে— এ ব্যাপারে রামপাল প্রকল্পবিরোধীরা কোনো যৌক্তিক কারণ তুলে ধরতে পারেননি। এমনকি তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের আহ্বানেও সাড়া দেননি। বর্তমান সরকার পরিবেশ রক্ষায় সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কোনো বিষয়ে আমার চেয়ে আর কেউ অধিক উদ্বিগ্ন নন। কোনো প্রকল্পে কোনো রকম ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে তার অনুমতি আমি দেব না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর