এক গারো তরুণসহ দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজনকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। জামিন পাওয়া পাঁচজন হলেন কুষ্টিয়ার রাসেল শেখ, রাজধানীর মতিঝিলের মাসুদ, গাজীপুরের বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারভেজ ও নেত্রকোনার গারো তরুণ লিটন। তবে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে কারাবন্দী রাজধানীর বাড্ডার সাইদুর রহমান ও কেরানীগঞ্জের রাজীব হোসেনকে জামিন না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এইচ মো. নূরুল হুদা জায়গীরদারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ওই সাতজনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী বেহেশতী মারজান। দীর্ঘদিন এ সাতজনের কারাবন্দী থাকা নিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল প্রতিবেদন প্রচার করলে সেই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন বেহেশতী মারজান। বিষয়টি আমলে নিয়ে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর কারাবন্দী সাতজনকে হাই কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। গতকাল আদালতে ওই সাতজনেক হাজির করা হয়। রাসেল শেখ : কুষ্টিয়া সদরের আইয়ুব শেখের ছেলে রাসেল শেখ কাফরুল থানায় করা এক মামলায় ২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে বন্দী। অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৩ ঢাকায় মামলাটি বিচারাধীন। সাইদুর রহমান : বাড্ডার আদর্শনগরের তাইবুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান এক মামলায় ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে। তার বিরুদ্ধে করা মামলা ঢাকার নারী ও শিশু আদালত-৪-এ বিচারাধীন। রাজীব হোসেন : কেরানীগঞ্জের ইমানদীপুরের মাহবুব আলমের ছেলে রাজীব হোসেন খিলগাঁও থানায় করা এক মামলায় ২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৪-এ মামলাটি বিচারাধীন। মো. পারভেজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈতলার চান মিয়ার ছেলে মো. পারভেজ কোতোয়ালি থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগে করা এক মামলায় ২০০৪ সালের ২ জুলাই থেকে কারাগারে। ঢাকার নারী ও শিশু আদালত-৩-এ মামলাটি বিচারাধীন। মাসুদ : মতিঝিলের ওবায়দুর রহমানের ছেলে মাসুদ শ্যামপুর থানার এক মামলায় ২০০৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে কারাগারে। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-২-এ মামলাটি বিচারাধীন। লিটন : উত্তরা থানায় করা এক মামলায় নেত্রকোনার কমলাকান্দার চেংগিনি এলাকার প্রসেন সাংমার ছেলে লিটন ২০০৫ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে কারাগারে। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৮-এ মামলাটি বিচারাধীন। বাবু : রমনা থানায় করা নারী নির্যাতনের এক মামলায় গাজীপুরের জয়দেবপুরের বোর্ডবাজার এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে বাবু ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩-এ মামলাটি বিচারাধীন।
