সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

দলে খারাপ লোকদের ভেড়াবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

দলে খারাপ লোকদের ভেড়াবেন না

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের দলে না ভেড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, খারাপ লোক এনে দল ভারী করার আওয়ামী লীগ আমরা চাই না। কলহ কোন্দল ঝেড়ে ফেলুন। যারা কলহ করবেন কোন্দল করবেন, ঘরের মধ্যে আরেক ঘর বানাবেন, তাদের আওয়ামী লীগ করার প্রয়োজন নেই। ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। গতকাল দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় যৌথ কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে নেতা যত বাড়ছে, কর্মী ততই কমছে। সরকার থেকে আওয়ামী লীগ নয়, আওয়ামী লীগ থেকে সরকার। এই আওয়ামী লীগ আমরা করতে চাই। তিনি বলেন, বসন্তের কোকিলের ভিড়ে দুঃসময়ের কর্মীরা যাতে হারিয়ে না যায়। কমিটি যেখানে নেই সেখানে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি পকেটের মধ্যে ঢুকাবেন না। কাউন্সিলর ও কর্মীরা যাদের নেতা বানাতে সমর্থন দেবেন তাদেরকেই নেতা বানাবেন। সুবিধাভোগী নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে কমিটি বানালেন, দুই পকেটে দুজন ঢুকালেন। আপনি যখন থাকবেন না, ওই লোকও থাকবে না। এসব করতে গিয়ে সুবিধা পেতে চেষ্টা করবেন না। সব খবর শেখ হাসিনার কাছে আছে। কাজেই দলভারী ও পকেটভারী করার জন্য নেতা সৃষ্টি করবেন না। কর্মী বাড়ান। কর্মীরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তিনি বলেন, সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সার্চ কমিটির সুপারিশের মাধ্যমে গঠন করা নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নাকি তাদের মনোপূত নির্বাচন হবে না। অথচ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফুরফুরা মেজাজে দেখা গেছে। বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলছেন, তিনি আশাবাদী। বিএনপির নেতাদের মধ্যে ঐকমত্য নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সবসময় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে যৌথ কর্মিসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, বিএনপি আজ যে কথা বলছে আমরা তা প্রমাণ করব। সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকারে আমাদের থাকার কথা। নারায়ণগঞ্জের মতো মডার্ন নির্বাচন সংসদ নির্বাচনে উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবকিছু নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে। আমরা শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করব। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এ বি এম মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় যৌথ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী , আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক টিপু মুন্শী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা চৌধুরী খালেকুজ্জামান, রমেশ চন্দ্র সেন, কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ। এ ছাড়াও সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মহানগর সভাপতি সাফিউর রহমান সফিসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর