সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শাস্তি হিসেবে কর্মকর্তাদের বদলি প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাস্তি হিসেবে কর্মকর্তাদের বদলি প্রতারণা

ড. মিজানুর রহমান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার হুমকির মুখে। এর প্রভাব আমাদের মতো মধ্যম আয়ের দেশেও পড়বে। তাই আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে মানবাধিকারের জন্য কাজ করতে হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার সেন্টারে বাংলাদেশের আদিবাসীদের ‘মানবাধিকার   রিপোর্ট-২০১৬’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। কাপেং ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের মূল অংশ তুলে ধরেন। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে (এসপি) সাতক্ষীরায় বদলি করা হয়েছে। তার চাকরিই তো বদলিযোগ্য চাকরি; তাহলে বদলি করলে শাস্তি হয় কীভাবে? এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সঙ্গে বড় ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতারণা। আজকে মানুষজন এতটা বোকা নয়, তারা সবই বোঝেন, এটা সবার মনে রাখা দরকার। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যেই কাজটি রাষ্ট্রের করার কথা, সেই কাজটি করলে আমরা তার জন্য ধন্যবাদ দেব কেন? কারণ আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে রাষ্ট্র কোনো কিছুই করে না। তাই রাষ্ট্র তার দায়িত্বের সামান্য কিছু করলে আমরা তার জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেই। রাষ্ট্রের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রতিটি নাগরিকের কল্যাণ করা। আর সেটি করতে পারলেই প্রতিষ্ঠিত হবে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে ভয়ানক ও নির্মম ঘটনাটি ছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তিন জন সাঁওতাল সেখানে পুলিশের হাতে নিহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ইক্ষু খামারের জমির মালিকানা দাবি করে গত বছর জুনে বাড়ি-ঘর বানাতে শুরু করে সাঁওতালরা। সেখানে প্রায় ১০০ একর জমিতে তারা ধান চাষ করেছিলেন। কাপাং ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের জন্য ২০১৬ ছিল সবচেয়ে সংকটময় বছর। রিপোর্টে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় গত বছর আদিবাসী নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সামান্য কম হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর