বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ২০১০ সালের সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়ীতে ট্রেন পোড়ানো মামলায় জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ ড. জাফরুল হাসান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে বিএনপির সাবেক এই জেলা সভাপতিকে কারাগারে নেওয়ার পরপরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। টুকুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা জানান, ছাত্রদল নেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়ী রেলক্রসিংয়ের পাশে ছাত্র গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সমাবেশ চলাকালে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বিএনপির ছয় কর্মী নিহত হওয়ায় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পৃথক সাতটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। ইতিমধ্যে মামলাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় টুকু গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।