সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। এর আগে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সকালে তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে আসেন অ্যাম্বুলেন্সে করে। অসুস্থতার কারণে তিনি আত্মসমর্পণের জন্য এজলাসে উঠতে পারেননি। এ বিষয়টি আসামিপক্ষ থেকে মাননীয় আদালতের নজরে আনা হয়েছে। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, আত্মসমর্পণের সময় আসামির এজলাসে উপস্থিতির নিয়ম থাকলেও অসুস্থতার কারণে ইকবাল মান্দ বানু আদালত ভবনের নিচে অ্যাম্বুলেন্সেই অবস্থান করেন। পরে আদালতের নির্দেশে নিচে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ইকবাল মান্দ বানুকে দেখে আসা হয় এবং আদালতকে জানানো হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন আদালত। এর আগে ১২ এপ্রিল একই আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ইকবাল মান্দ বানু সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের স্ত্রী। তাদের মেয়ে জোবাইদা খানের সঙ্গে ১৯৯৩ সালে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিয়ে হয়। জরুরি অবস্থার সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার অনুসন্ধান চলাকালে ইকবাল মান্দ বানুর নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে ইকবাল মান্দ বানুর সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি আলাদা নোটিশ পাঠায় সংস্থাটি। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদবিবরণী না দেওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক আর কে মজুমদার রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন। পরে ঘটনা তদন্ত করে দুদকের উপপরিচালক আবদুস সাত্তার সরকার গত বছর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।