বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ডুবছে হাওর, তারা দেখতে গেছেন নায়াগ্রা জলপ্রপাত

উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডিজিসহ ৯ জন কানাডায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁধ ভেঙে ডুবে গেছে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিস্তীর্ণ হাওর। বোরো ফসলের হাজার হাজার একর জমি তলিয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছেন অবস্থাপন্ন কৃষক থেকে হাওরপাড়ের দরিদ্র মানুষ। মরছে মাছ, হাঁস-মুরগি, মহিষসহ জলজ প্রাণী। ঠিক তখনই নায়াগ্রা জলপ্রপাত দর্শনে কানাডায় ভ্রমণ করছেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মজিবুর রহমান এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঁচ কর্মকর্তাসহ মোট নয়জন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রকল্পের নামে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের ডিজিসহ অধিফতরের পরিচালক (প্রশাসন) নূরুল আমিন, পরিচালক (জলাভূমি) ড. রুহুল আমিন এবং উপ-পরিচালক (প্রশাসন) নাজমুল আহসান একসঙ্গে কানাডা গেছেন। তাদের সফরসঙ্গী হয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আরও পাঁচ কর্মকর্তা। তারা ১৮ এপ্রিল সরকারি সফরে কানাডা গেছেন। দেশের হাওরাঞ্চলে যখন মহাবিপর্যয়, হাওর নিয়ে যখন দেশজুড়ে মানুষের উদ্বেগ-দুর্ভাবনা ঠিক সেই সময়ে কথিত প্রকল্পের নামে প্রমোদ ভ্রমণে তাদের বিদেশ যাওয়া নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। হাওরের বিপর্যয়ের সময় যে কর্মকর্তাদের মাঠে থাকা জরুরি তারা বিদেশ সফরে থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই অধিদফতরের কোনো ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না। আর ডিজিসহ পদস্থ কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে থাকায় অধিদফতরের বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই এখন আয়েশ করে সময় পার করছেন। সাবেক এমপি ও সাবেক বিএনপি নেতা মেজর আখতারুজ্জামান (অব.) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘দেশের হাওর এলাকা যখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে, পচে গেছে হাজার হাজার মণ ধান আর মরে গেছে শত শত কোটি টাকার মাছ ও হাঁস; হাওর উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক সাহেব তখন দলবল নিয়ে জনগণের অর্থে “প্লেজার ট্রিপে” গিয়েছেন কানাডায়। সেখানে তারা হাওরের বদলে নাকি নায়াগ্রা জলপ্রপাতে গিয়ে পিকনিক করছেন, আনন্দ করছেন। কিন্তু সরকার একেবারে নিশ্চুপ। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া দূরের কথা, এদের কথামতোই বরং চলছে সরকার। এদের দায়িত্বজ্ঞান দেখে ইচ্ছা হয় রাস্তায় বসে কাঁদি। এসব আমলার কথা শুনলে আজ হোক, কাল হোক দেশ ও জনগণ তো বটেই, একদিন প্রধানমন্ত্রীরও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে এদের “কিক্-আউট” করুন। বর্তমান পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের হাওর বোর্ডের দায়িত্ব দিন। দয়া করে মানবেতর হাওরবাসীর কথা শুনুন। বিষাক্ত ওই আমলাদের কল্পকথা পরিহার করুন। আমলাদের বেশির ভাগই আজ দুর্নীতিগ্রস্ত, অযোগ্য, অপদার্থ। এরা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি আওয়ামী লীগ করেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এরা বেগম খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশি বিএনপি করেছিলেন।’

সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘হাওরের যে দুর্ভোগ সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কখনই সচেতন হননি। বরং হাওর উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পগুলোয় প্রতিবারই সাগর চুরি হয়েছে। সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হাওরে সাম্প্রতিক ঢলের পানিতে সৃষ্ট দুর্ভোগে হাওর এলাকায় মানবেতর অবস্থা চলছে, ঠিক তখন হাওর উন্নয়ন বোর্ডের ডিজিসহ কর্মকর্তারা এ অবস্থায় যদি কানাডা সফরে গিয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দোষী হলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সুনামগঞ্জসহ হাওর এলাকার এই বিপর্যয়ের চেয়ে হাওর উন্নয়ন বোর্ডের ডিজির কানাডা সফর কোনোভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।’

প্রসঙ্গত, ২৭ মার্চ থেকে আগাম বন্যায় প্লাবিত হতে থাকে দেশের হাওরাঞ্চল। পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে ১৪২টিরও বেশি হাওরের সব ফসল। গেল এক সপ্তাহে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।

হাওরে আর্তনাদ চলছেই : ফসল হারানো হাওরবাসীর আর্তনাদ থামেনি। এখনো বাঁধ ভেঙে ধান এবং খেত তলিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও তলিয়ে যাওয়া ধান পচে যাচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও কোনো রকমে কাঁচা ধানই কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। তাদের পরিবারে ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরেই খাবার নেই। লাখ লাখ মানুষ এভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ অবস্থায় আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় ব্যাপক ফসলহানির ঘটনায় আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন। এ ব্যাপারে গতকাল বেলা ৩টায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার সফরকালে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন করবেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দেবেন এবং একটি জনসভায় অংশ নেবেন।  এদিকে আগাম বন্যায় ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে একে একে সুনামগঞ্জের সবগুলো হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর ‘যে কোনো সময় পানি ঢুকে পড়বে’ আতঙ্কে ছোটখাটো বিলের কাঁচা বারো ধানই কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা। এ দৃশ্য গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে সদর উপজেলার আন্দাবাজ, নিয়ামতপুর, জামালগঞ্জ উপজেলার ছেলস্তপুর, মান্নানঘাট এলাকার বিভিন্ন বিলে। এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলার ছেলস্তপুর গ্রামের কৃষক কিতাব আলী জানান, পাশের খরচা ও জেয়ালভাঙা হাওর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন খাল ও নালা দিয়ে গ্রাম সংলগ্ন বিলে পানি ঢুকছে। এ কারণে কাঁচা ধান কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তিনি জানান, পাকা ধান থেকে যে পরিমাণ ফসল পাওয়ার কথা, কাঁচা কেটে নেওয়ায় তার অর্ধেক ফসল পাওয়া যাবে।  এতে হয়তো কোনো মতে ধান লাগানোর খরচের টাকা উঠে যাবে, কিন্তু লাভ পাওয়া  যাবে না।  দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন লক্ষাধিক পরিবার। তাদের সারা বছরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো এই ফসলকে ঘিরে। এ অবস্থায় জেলাজুড়ে হাহাকার চলছে। বেশির ভাগ মানুষের ঘরে এখন খাবার ইে। চলছে আর্তনাদ। ক্ষতিগ্রস্ত বোরো চাষিদের জন্য সরকারের জেনারেল রিলিফের আওতায় যে এক হাজার মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে ৪৮ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে—তা ক্ষতিগ্রস্ত তিন লক্ষাধিক পরিবারের জন্য একেবারেই অপ্রতুল। ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও’ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী বলেন, ‘হাওরের মানুষ আজ বড়ই অসহায়। সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, সম্পন্ন গেরস্থের ঘরে দুবেলার খাবার নেই। প্রতিটি মানুষ ঋণের জালে আবদ্ধ। এমন দুরবস্থায় ২৬ লাখ জন-অধ্যুষিত এই জেলার ৮০ ভাগ মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। যে কারণে জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা জরুরি।’ হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কয়েক দিনের অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ভাটি এলাকার অবশিষ্ট বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে নতুন করে তলিয়ে যাচ্ছে অবশিষ্ট বোরো জমিন। তলিয়ে যাওয়া জমির ধান এরই মধ্যে পচতে শুরু করেছে। এভাবে চোখের সামনে পাকা ধান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় হাহাকার করছেন কৃষকরা। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ৭২ ঘণ্টায় জেলার খোয়াই, কালনী, কুশিয়ারা, ভেড়ামোহনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিভিন্নস্থানে বাঁধ উপচে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়েছে। কৃষকের ঘরের গোলাশূন্য হয়ে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শাহজাহান কবির জানান, জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাতটি উপজেলার ২৯ হাজার পরিবারের মধ্যে ২ হাজার ৮৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পরিবারের মধ্যেও ত্রাণ বিতরণ করা হবে। নেত্রকোনা : গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় হাওরদ্বীপ খালিয়াজুরী উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণাসহ কৃষক ও মত্স্যজীবীদের পুনর্বাসনের দাবিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন খালিয়াজুরী উপজেলাবাসী। জেলা শহরে বসবাসরত খালিয়াজুরী উপজেলাবাসী ‘হাওড় বাঁচাও, খালিয়াজুরী বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এ সময় দুর্গত এলাকায় মন্ত্রীর দর্শন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ এবং দুর্গত মানুষের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ দাবির মধ্যে রয়েছে, দুর্গতদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, ভিজিএফ, ভিজিডি প্রভৃতি বরাদ্দ বৃদ্ধি, আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওয়ার্ড পর্যায়ে ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও আটা বিক্রি, ব্যাংকের কৃষিঋণ ও এনজিওর ক্ষুদ্রঋণ মওকুফ এবং আগামী ফসলের জন্য বিনাসুদে ঋণ বিতরণ, পরবর্তী ফসলের জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক প্রদান, গবাদিপশুর জন্য বিনামূল্যে দানাদার খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন মওকুফ ও শতভাগ শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি চালু, হাওড়-বিল-খাল-নদীতে মত্স্যজীবীদের উন্মুক্তভাবে মাছ ধরার অধিকার নিশ্চিত, বাজার-ঘাটের টোল-ফি কমানো, ধনু নদীর উৎস থেকে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণ, উপজেলার সব নদী-খাল-বিল খনন ও দখলমুক্তকরণ এবং বাঁধ রক্ষায় ব্যর্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও শাস্তি প্রদান করতে হবে। জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমানের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সিলেট : সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের ৫০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হবে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিবারগুলোকে মাসে ৩০ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। গতকাল জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, সিলেটের ১৩টি উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ পরিবারের ১০ লাখ মানুষ। ফসলহানি হয়েছে ৬৪ হাজার ৪৫৪ হেক্টর জমির। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৪৭ হাজার ২৫০ কৃষক পরিবার ও ২ হাজার ৭৫০ মত্স্যজীবী পরিবার এ সহযোগিতা পাবেন। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ১০০ দিনের জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উপজেলা পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে দু-এক দিনের মধ্যে তালিকা আসার কথা রয়েছে। তালিকা পেলেই ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল ও আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু হবে। ‘ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দকৃত এই ভিজিএফ কার্ড পর্যাপ্ত নয়’ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও বরাদ্দের আবেদন জানানো হবে। কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের বন্যাকবলিত হাওরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়েছে। গতকাল হাওরের ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৪০০ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে ত্রাণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ইটনায় ২০০ এবং মিঠামইনে ২০০ কৃষকের প্রত্যেককে পাঁচশ টাকা এবং ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল দুটি উপজেলায় দিনব্যাপী ত্রাণ তৎপরতা চালান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ খবর নেন।

সর্বশেষ খবর