বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

আমরা ভারতবিরোধী নই

নিজস্ব প্রতিবেদক


আমরা ভারতবিরোধী নই

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমার পাওনার কথা বললেই ভারতবিরোধী হয়ে গেলাম! আমরা কখনই ভারতবিরোধী নই, ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই। তাই বলে কি আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনার কথা, আমাদের অধিকারের কথা বলতে পারব না?’ তিনি গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান গবেষণা পরিষদ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর একটি বইয়ের প্রকাশনা ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিষদের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন জিমির সভাপতিত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুহাম্মদ ইবরাহিম (অব.), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে সরকারকে জাতিসংঘে যাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে কিছু নিয়ে আসতে পারেননি, যে কারণে তাকে ধন্যবাদ জানানো সম্ভব হয়নি। এ সরকার জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি অবশ্যই নির্বাচন চায়। কিন্তু সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। অন্য কোনো মাধ্যমে নয়। কিন্তু সে নির্বাচন দেওয়ার জন্য তো ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। আমাকে কথাই বলতে দেবেন না, জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হবে না, র‍্যালি করার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে না। সভা করতে গেলে বলবেন নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এই পরিস্থিতিতে তো নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব নয়। আন্দোলন-সংগ্রামের অপরাধে গতকালও গাইবান্ধায় ২৫ জনকে সাজা দিয়েছেন। অথচ কোনো সাক্ষী তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি। পরে বিচারককে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো তখন তিনি বললেন, “আমার হাত-পা বাঁধা, কিছুই করার ছিল না”।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে হাওরের পানির ঢল নেমে আসছে। কোথা থেকে আসছে? উজান থেকে আসছে। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন আছে। এর জন্য প্রয়োজনে জাতিসংঘে যান। যাতে আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা পেতে পারি।’ হাওরের দুর্ভোগের কথা বর্ণনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উজান থেকে হাওরের পানির ঢল নেমে আসছে। ভারত বাঁধ দিয়ে রাখে। আমাদের দেশে কোনো বাঁধ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। কোনো প্রকল্প নেই আমাদের। যখন প্রবল বৃষ্টি হয়, পানি বেশি হয়ে যায়, তখন ভারত পানি ছেড়ে দেয়। আমরা তলিয়ে যাই। এটা তো হতে পারে না।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর