বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে এক নিবর্তনমূলক পরিবেশে এসেছে এবারের মহান মে দিবস। সবার অধিকার নিশ্চিত করতে আসুন আবারও জাতীয় মুক্তির শপথ নেই। গতকাল এক টুইট বার্তায় মে দিবস উপলক্ষে সব শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এ শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি বলেন, শ্রমিকের ঐতিহাসিক অবদানের ফলেই বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। অথচ আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান ও শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সব সময় আপসহীন সংগ্রাম করে গেছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় এবং তা রক্ষায় আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পালনে কখনই পিছপা হইনি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও নিজেকে সব সময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। শ্রমিকের হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি ভাবতেন। এ দেশের শ্রমজীবী ও পরিশ্রমী মানুষের কল্যাণে তিনি যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারে থাকতে আমরাও এ দেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছি। খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে আমাদের এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ : মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীতে শোভাযাত্রা বের করবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। আজ সোমবার সকাল ১০টায় শ্রমিক র্যালিটি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে। শ্রমিক দিবসে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে গতকাল এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপির এই সহযোগী সংগঠনটি। দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন। এর আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ মে সমাবেশ করার জন্য চার দফা অনুমতি চেয়েও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি পাননি বিএনপি ও শ্রমিক দলের নেতারা। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় মে দিবস উপলক্ষে বিকল্প হিসেবে আমরা ২ বা ৩ মে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, ৫ মের আগে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।’ সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়েছে বিএনপি ও শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে। শ্রমিক সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে সরকার শ্রমিকদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে চায় বলেও উল্লেখ করা হয়। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মে দিবসে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।