শিরোনাম
সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
চেয়ারম্যান বললেন

ব্যাপক উন্নয়ন হবে কমবে ভোগান্তি

গোলাম রাব্বানী

ব্যাপক উন্নয়ন হবে কমবে ভোগান্তি

আগামী দু-এক বছরের মধ্যে স্থলবন্দরগুলো অনলাইন সিস্টেমের (অটোমেশন) আওতায় আসছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারীদের সব ধরনের ভোগান্তি কমবে। গতকাল বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে স্থলবন্দরে অনলাইন সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি। এটি শেষ হলে স্থলবন্দরের উন্নয়ন সাধিত হবে। ডিজিটাল সিস্টেমের সঙ্গে আমরা ট্যাগ হতে পারব।’ তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা ২৩টি স্থলবন্দর নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্যে বিইউটি ভিত্তিতে ছয়টি পোর্ট আমাদের তালিকাভুক্ত রয়েছে। তা পাঁচটি চলমান আছে। একটি পোর্ট বিরল, সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আর বাকি পাঁচটি স্থলবন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আমরা চালাচ্ছি। তামবিল ও সোনাহাট স্থলবন্দর বর্তমানে উন্নয়নের প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী অর্থবছর এ দুটি স্থলবন্দরে কমার্শিয়াল অপারেশন চালু হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় আমরা সিলেটের শ্যাওলা ও রামগড় বন্দর দুটিকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে এসেছি। বেনাপোল স্থলবন্দর আধুনিকায়নে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় আমরা কার্যক্রম নিয়েছি। এর মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দরও আছে। এডিবির অর্থায়নে বর্তমানে বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্যক্রম চলছে এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইয়ার্ড আধুনিকায়ন করেছি, যাতে এ বন্দরসমূহে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন হয়।’ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দর একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। বিলোনিয়া ও জামালপুরের ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দর দুটি সম্পর্কেও পরিকল্পনা কমিশনে ডিপিবি দাখিল করা আছে। এগুলো উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় আছে। বেনাপোল হলো আমাদের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর। এটির আধুনিকায়নের জন্য আমরা ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী দু-এক বছরের মধ্যে বেনাপোলে আমাদের ধারণক্ষমতাসহ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে। তিনি বলেন, ‘স্থলবন্দর হচ্ছে একটি সুবিধা প্রদানকারী সংস্থা, যা ব্যবসা-ব্যণিজ্যে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে। স্থলবন্দরগুলোর আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে অঙ্গীকার আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। দু-এক বছরের মধ্যে স্থলবন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।’ স্থলবন্দরে ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্থলবন্দরে যৌথ কাজ হয়। স্থলবন্দরের কাজ শুধু আমরা মালামাল রিসিভ করি, রাখি এবং এগুলো রিলিজ করি। আমাদের গুদামে থাকে। সেখানে কয়েকটি সংস্থা কাজ করে। সবাই মিলে স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে আমদানি-রফতানি এবং ইমিগ্রেশনের কাজগুলো করে। যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে, তারা তাত্ক্ষণিকভাবে সেগুলো সমাধান করবে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অনলাইন সিস্টেম। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমরা কাজটি হাতে নিচ্ছি। এটা শেষ করতে পারলে ডিজিটাল সিস্টেমের সঙ্গে আমরা যুক্ত হব। তাহলো ভোগান্তি ও ঝামেলা দুই-ই কমবে।

সর্বশেষ খবর