শিরোনাম
সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজিরা

টাকা পাচার, শুল্ক ফাঁকি ও দুর্নীতি করেছে মূসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাকা পাচার, শুল্ক ফাঁকি ও দুর্নীতি করেছে মূসা

দেহরক্ষীর বহর নিয়ে গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক-গোয়েন্দা সদর দফতরে হাজির হন আলোচিত ব্যবসায়ী মূসা বিন শমশের। পুরুষের পাশাপাশি ছিল নারী দেহরক্ষীও —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিলাসবহুল গাড়িতে শুল্ক ফাঁকি ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মূসা বিন শমশেরকে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য ও প্রমাণ তদন্ত কমিটির কাছে রয়েছে তাতে প্রতীয়মান হয়েছে শুল্ক আইনের দৃষ্টিতে তিনি অপরাধী। শুল্কমুক্ত সুবিধায় শর্ত পরিপালন না করে গাড়ি আমদানি করেছেন, সেটা আইনের চোখে সুস্পষ্ট অনিয়ম বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় মূসার বিরুদ্ধে তিনটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানিয়েছেন। গতকাল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে দুই ঘণ্টা মূসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ২টা ৫৫ মিনিটে শুল্ক গোয়েন্দার তলবে শুল্ক গোয়েন্দা সদরদফতরে হাজির হন মূসা। পাঁচ আইনজীবী, দুই নারীসহ ৩০ দেহরক্ষীর বিশাল বহর নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে আসেন তিনি। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক এইচ এম শরিফুল হাসানের নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দুই ঘণ্টা মূসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে মূসা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন।

 ড. মইনুল খান বলেন, আমরা ২১ মার্চ মূসার গুলশানের একটি বাড়ি থেকে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি উদ্ধার করি। সেই গাড়ির তদন্ত সূত্রে ২০ এপ্রিল মূসাকে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে সমন দিয়েছিলাম। তিনি অসুস্থতার কারণে সেদিন উপস্থিত হতে পারেননি। পরবর্তীতে সময় দিয়ে আজকে হাজির হতে নোটিস দিয়েছি। তিনি আজকে হাজির হয়েছেন। তদন্ত কমিটি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য ও প্রমাণ তদন্ত কমিটির কাছে রয়েছে তাতে প্রতীয়মান হয়েছে শুল্ক আইনের দৃষ্টিতে তিনি অপরাধী। মূসার বক্তব্য ও তার লিখিত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

জানা গেছে, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের তলব নোটিস পাওয়ার পর মূসা আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়েছেন এমন দাবি করে সময় চাইলে তাকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে ৭ মের মধ্যে হাজির হতে সমন দেওয়া হয়। ওই সমনের পরিপ্রেক্ষিতে মূসা সশরীরে হাজির হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। মূসার বিরুদ্ধে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করার অভিযোগও রয়েছে, যার অনুসন্ধান করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

সর্বশেষ খবর