শিরোনাম
সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

সর্বকনিষ্ঠ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

সর্বকনিষ্ঠ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

তিন বছর আগেও যিনি ছিলেন অচেনা একজন, তাকে প্রেসিডেন্ট বানাল ফরাসিরা। ভোটের লড়াইয়ে ডানপন্থি মারিন লো পেনের হারে হাঁফ ছাড়ল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগামী পাঁচ বছর ফ্রান্সকে নেতৃত্ব দেবেন কে? ফ্রান্সের নির্বাচন : ইমেইল ফাঁস, হ্যাকিংয়ের অভিযোগ রবিবার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলের আভাস দিয়ে বিসিসি, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ৩৯ বছর বয়সী ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁই হতে চলেছেন ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। শিল্প বিপ্লবোত্তর ফ্রান্সের সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তিনি। এ জয়ের পথে আরেকটি ইতিহাসও গড়তে যাচ্ছেন সাবেক এই ব্যাংকার। প্রধান দুই রাজনৈতিক ধারার বাইরে তিনিই প্রথম ইউরোপের প্রভাবশালী এই দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় আসার পরের বছরের এই নির্বাচনেও একই সুর তুলেছিলেন ম্যাক্রোঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টর ডানপন্থি মারিন লো পেন। অভিবাসন বিরোধিতার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফ্রান্সকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা পেন। অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মধ্যপন্থি ম্যাক্রোঁ। গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটে কেউ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী ম্যাক্রোঁ ও পেনের মধ্যে রবিবার রানঅফ ভোট হয়। রাত ৮টায় ভোট শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রকাশিত তিনটি বুথফেরত জরিপে দেখা যায়, ম্যাক্রোঁর পক্ষে ৬৫ শতাংশের বিপরীতে লো পেন পেতে চলেছেন ৩৫ শতাংশ ভোট। প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদেঁর সরকারে দুই বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ম্যাক্রোঁ এই প্রথম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন। দেশে বাম-ডান শিবিরের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়তে চান ম্যাক্রোঁ। তিনি থামাতে চান দেশজুড়ে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হুজুগ, যে হুজুগে মার্কিনিরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং ব্রিটিশরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের পক্ষে গেছে।

অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী লো পেনই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিম ইউরোপে কট্টর-ডানপন্থিদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি, যিনি একটি দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম ফেভারিট প্রার্থী হতে পেরেছেন। উগ্রপন্থি এই প্রার্থী ইইউর একক মুদ্রা ইউরো ত্যাগ এবং সীমান্ত বন্ধ করে অভিবাসীদের আগমন বন্ধ করার কথা বলেছিলেন।

ম্যাক্রোঁর সব কর্মসূচির সঙ্গে সবাই একমত না হলেও প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার লো পেনকে ঠেকাতে তাকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে আসে।

সর্বশেষ খবর