বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

চার দশক পর নতুন ঠিকানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চার দশক পর নতুন ঠিকানা

মওদুদ আহমদের নতুন বাসা

চার দশকের বেশি সময় পর নতুন ঠিকানায় উঠছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে গুলশান এভিনিউর ১ বিঘা ১৩ কাঠার সেই ১৫৯ নম্বর বাড়িটি ছাড়তেই হলো। আদালতের রায়ে গতকাল সেই বাড়ি দখলমুক্ত করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এখন থেকে গুলশান-২ এর ৮৪ নম্বর রোডের ৫৪ নম্বর বাড়িটিই ব্যারিস্টার মওদুদের নতুন ঠিকানা। রয়েল কনকর্ড নামে অ্যাপার্টমেন্টের ৫০৪ নম্বর ফ্ল্যাটটি তার। সেখানেই স্থায়ীভাবে থাকবেন তিনি। সেখানেও গতকাল বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মাল রাখা হয়েছে। তবে সব মালামাল তার নিজ ফ্ল্যাটে তোলা সম্ভব হয়নি। দিনভর ১৫৯ নম্বর বাসায় থাকার পর রাতে যান তার রয়েল কনকর্ড ফ্ল্যাটে। এরপর সেখান থেকে তিনি চলে যান এক নিকটাত্মীয়ের বাসায়। নতুন ফ্ল্যাট গোছাতে দু-একদিন সময় লাগবে বলে ব্যারিস্টার মওদুদের স্টাফরা জানিয়েছেন। কনকর্ড টাওয়ারের একজন নিরাপত্তাকর্মী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, বাড়িটি আগেই খালি করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু মাল তোলা হয়েছে। অধিকাংশ মাল রাখা হয়েছে ব্যারিস্টার মওদুদের গুলশান এভিনিউর ৫১ নম্বর রোডের ২ নম্বরে এক আত্মীয়ের বাসায়। সেখানেও তার শ্যালকের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েল কনকর্ডের নতুন বাসাটি সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুটের। গুলশান ঝিলপাড়ের এ বাসাটিতে গতকাল বেশকিছু মাল নিয়ে যাওয়া হয়। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গুলশানের সেই বাড়ি থেকে রাজউকের ট্রাকে প্রথমবার মালামাল নিয়ে আসা হয় রয়েল কনকর্ডের সামনে। সেখানে রাজউকের কয়েকজন কর্মচারী মালামালগুলো নামিয়ে রাখেন। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদের বাড়ির স্টাফরাও সহযোগিতা করেন। নতুন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীদের এ সময় বেশ তত্পর দেখা যায়। মালামালগুলো বাসার সামনে, নিচতলায় ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে দেখা গেছে। তবে রাজউকের উচ্ছেদের সময় মওদুদ ওই বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি বলে, বিরোধী দল করি বলেই কি আজকে এই অবস্থা? সরকারি দলের কেউ হলে আজকে এ রকম হতো? আজকে বিরোধী দল করি বলেই প্রতিহিংসার এই চরম দৃষ্টান্ত।’

১ বিঘা ১৩ কাঠা জমির ওপর ওই বাড়ি অবৈধভাবে দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় ব্যারিস্টার মওদুদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশীদ। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ২৬ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দিলে ওই বছর ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তা আমলে নেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর সর্বশেষ রবিবারও সর্বোচ্চ আদালতে হেরে যান ব্যারিস্টার মওদুদ। রাজউক তার সেই ১৫৯ নম্বর বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর