বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

কানাডার সেই জঙ্গি সালমান ঢাকার কোথায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

কানাডায় উগ্রপন্থা প্রচারের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা তরুণ সালমান হোসাইনের খোঁজ জানে না ঢাকার পুলিশ। কানাডার সংবাদপত্র ন্যাশনাল পোস্টের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরে যোগাযোগ করা হলে তারা সালমানের খোঁজ না জানার কথা জানিয়েছে। তবে তার বিষয়ে খোঁজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গি ও আন্তদেশীয় অপরাধ দমনে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘কানাডায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ইন্টারপোলেও তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট রয়েছে। কিন্তু কানাডার সঙ্গে আমাদের এ-সংক্রান্ত কোনো চুক্তি না থাকায় এখন পর্যন্ত আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি।’ উল্লেখ্য, ইন্টারপোলের সদস্য দেশগুলো নিজেরাই ঠিক করে নেয় কোন রেড নোটিসের ক্ষেত্রে তারা কতটা গুরুত্ব দেবে। কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় সালমানের বিষয়টি তত গুরুত্ব পায়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ন্যাশনাল পোস্টের প্রতিবেদনে সালমানকে একজন উগ্রবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের জুলাইয়ে সালমানের বিরুদ্ধে ইহুদি গণহত্যা চালানোর প্ররোচনার অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে এর কিছু দিন আগেই সালমান টরন্টো থেকে লাপাত্তা হন। পরে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারি করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বিশ্বের যেখানেই ইহুদি, তাদের সহযোগী বা দাসদের পাওয়া যাবে, সেখানেই তাদের এভাবে নিধন করা দরকার। দায়েশ (আইএস), তোমরা কি ইসরায়েল ও ইহুদিদের প্রতি তোমাদের দায়িত্বের কথা ভুলে গেছো?’ সম্প্রতি কানাডা পোস্ট এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানায়, সালমান হোসাইন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। চলতি রমজান মাসে গুলশানের একটি কফি শপের কাছে তার অবস্থানের ছবিও প্রকাশ করে কানাডা পোস্ট। গত বছর রমজানে ওই কফি শপের কাছের আরেকটি রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিজানে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। কানাডার আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে সালমানের ১৬ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

সর্বশেষ খবর