বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

শ্রম বাজার নিয়ে আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই

নিজামুল হক বিপুল

শ্রম বাজার নিয়ে আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই

এম হুমায়ুন কবির

সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, আপাতদৃষ্টিতে কাতারকেন্দ্রিক যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে তাতে আমাদের শ্রমবাজার নিয়ে কোনো আশঙ্কা এই মুহূর্তে নেই। যদি এ সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে কাতারের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তখন তার একটা প্রভাব আমাদের জনশক্তিতে পড়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে উপসাগরীয় অঞ্চলে অন্য যে দেশগুলো আছে সেগুলোর শ্রমবাজার নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এম হুমায়ুন কবির বলেন, অবশ্য আমাদের যে শ্রমিক ভাইয়েরা বিমানের টিকিটের মূল্য কম থাকায় কাতার এয়ারওয়েজ ব্যবহার করতেন, তাদের জন্য ইতিমধ্যে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। কারণ কাতার এয়ারওয়েজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এজন্য তাদের বাড়তি টাকা গুনতে হবে। তিনি মনে করেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের এই সংকট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ব্যাপার। তাদের আঞ্চলিক রাজনীতি ও প্রভাবের কারণে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে জিসিসি’র সদস্যরা উদ্যোগ নিতে পারে। তবে কাতারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। বাহরাইন এবং সৌদি আরবেও তাদের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে তারা একটা ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু তারা কতটা রাখতে পারবে জানি না। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফরকালে বলেছিলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকুক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বৃহত্তর স্বার্থের কথা এবং ইরানের বিষয়টি মাথায় রেখে উপসাগরীয় সংকট দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হতে পারে। সাবেক এই কূটনীতিক মনে করেন, এই জটিলতা সমাধানে কাতারসহ কয়েকটি রাষ্ট্র যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, বাংলাদেশ সেগুলোকে কূটনৈতিকভাবে সমর্থন করতে পারে। তিনি বলেন, অবস্থা  দেখে যা মনে হচ্ছে তাতে বলা যায়, একটা জটিল সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সৌদি ও ইরানের মধ্যে একটা লড়াই শুরু হয়েছে। সেটি কোথায় গিয়ে ঠেকে তা দেখার বিষয়। এম হুমায়ুন কবির বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য আমাদের বড় শ্রমবাজার, আমরা কাতার থেকে তেল আমদানি করি। ভবিষ্যতে এলপি গ্যাস আমদানি করার চুক্তি করেছি। এসব কারণে মধ্যপ্রাচ্য আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে এই সংকটের সূত্র এবং শেষ কোথায় এ ব্যাপারে আমাদের গভীর পর্যালোচনা করে আগামী দিনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।

সর্বশেষ খবর