শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধস রোধে প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা

জয়শ্রী ভাদুড়ী

ধস রোধে প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা

এ এস এম মাকসুদ কামাল

আমাদের দেশের পাহাড়গুলো বেলেমাটির এবং প্রায় ৫ লাখ বছর আগে এদের উৎপত্তি। পাহাড়গুলো থেকে মানুষ যথেচ্ছভাবে গাছ কেটে বাড়িঘর বানিয়েছে। তাই যখন অধিক বৃষ্টি হয় আঁকড়ে ধরার কিছু না থাকায় দুর্বল হয়ে ধসে পড়ছে পাহাড়। পাহাড়ধস রোধে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

পাহাড়ের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সে জায়গা থেকে বসতি সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এতে পাহাড় ধসে পড়লেও প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাহাড়ধস ঠেকাতে প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা। এজন্য চাইলে পাহাড়ের গায়ে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। কিছু গুল্মগাছ আছে যেগুলোর শিকড় অনেক গভীরে গিয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে, এ ধরনের গাছ লাগাতে হবে। আর অধিক বৃষ্টিতে গড়িয়ে পড়া পানি নিষ্কাশনে ড্রেন করে দিলে পানি জমে মাটিকে দুর্বল করতে পারবে না। অনেক জায়গায় পাহাড় কেটে অফিস বা বাসস্থান তৈরি করা হয়েছে। এগুলো যদি সরিয়ে না নেওয়া যায় তবে পাহাড়ের গা ঘেঁষে দেয়াল তৈরি করা যেতে পারে। তবে দেয়ালের ভিতর দিয়ে পাহাড়ের পানি বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। মাকসুদ কামাল আরও বলেন, পাহাড় কেটে রাস্তা করার সময় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। পাহাড়ের দুর্বল জায়গাগুলো বাদ দিয়ে হিসাব-নিকাশ করে রাস্তা তৈরি করতে হবে। আর পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা কোনগুলো তা মানচিত্র আকারে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঝুলিয়ে দিতে হবে; যাতে সাধারণ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বিষয়ে জানতে পারে এবং নিরাপদ স্থানে বসবাস করতে পারে। আর পাহাড়ে দুর্যোগ প্রতিরোধে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটিকে সক্রিয় করতে হবে। সবাই মিলে সচেতন হলে এবং অবাধে গাছ ও পাহাড় কাটা বন্ধ করলে এই প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর