শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের টাকাই সুইস ব্যাংকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের টাকাই সুইস ব্যাংকে

ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি ও লুটপাটের টাকা বিদেশে পাচার করায় জমা বেড়েছে সুইস ব্যাংকে। সারা দুনিয়া থেকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ জমার পরিমাণ কমলেও বাংলাদেশিদের টাকা রাখার পরিমাণ আরও বেড়েছে। গত এক বছরের ব্যবধানে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ জমা হয়েছে সুইস ব্যাংকে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গতকাল সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সরাফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু, এম এ মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ব্যাংকিং খাত অত্যন্ত নাজুক, লালবাতি জ্বলার উপক্রম হয়েছে। সেই ব্যাংক লুটের টাকাই সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে বলে সবাই বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, দুর্নীতি আর লুটের টাকা পাচার করেছে ক্ষমতাসীনরা। জনগণ বিশ্বাস করে টাকা পাচারের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের লোকেরা জড়িত। তা না হলে অর্থমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অসহায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন না। সত্যিকার অর্থে এই অর্থ পাচার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, ২০১৬ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে জমার পরিমাণ ছিল ৫৫ কোটি সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে এই জমার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই— ভোটারবিহীন সরকারকে জবাবদিহি করার সময় হয়ে গেছে। জনগণের হাত থেকে পালানো আর সহজ হবে না। দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচারের জন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

সর্বশেষ খবর