ফেনীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গতকাল গভীর রাতে আলোচিত চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার আসামি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মোহাম্মদ সোহেল এবং রংপুরে ‘আন্তজেলা ডাকাত দলের সরদার’ ইদ্রিস আলী নিহত হয়েছেন।
ফেনী প্রতিনিধি র্যাবের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির সময় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে শহরের বিরিঞ্চি এলাকার শামছুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল ফেনীর আলোচিত একরাম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্যতম আসামি। তিনি একই এলাকার জাফর আহম্মেদের ছেলে। র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা ভোর রাতে শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে রুটি সোহেল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি চালায়। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে রুটি সোহেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে র্যাব তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রুটি সোহেল ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে সোহেল এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন। রংপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মিঠাপুকুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আন্তজেলা ডাকাত দলের সরদার ইদ্রিস আলী (৩২) নিহত হয়েছেন। গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে গতকাল রাত সোয়া ৩টায় জয়রাম আনোয়ার এলাকায় ঈদগাহ মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ইদ্রিস আলী একই উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকার সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। মিঠাপুকুর থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, আগের রাত ৯টায় ইদ্রিসকে বলদিপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাত ৩টার দিকে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পুলিশ ১৩ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইদ্রিস আলী। এ ঘটনায় সাত পুলিশ আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি বেকি, একটি দা ও দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। ইদ্রিসের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই ও মাদক আইনে ৯টি মামলা রয়েছে।