বুধবার, ৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কারখানার সামনে স্বজনের কান্না মিলল আরও চার লাশ

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ঘটেছে দুর্ঘটনা

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

কারখানার সামনে স্বজনের কান্না মিলল আরও চার লাশ

গাজীপুরে মাল্টিফ্যাবস পোশাক কারখানায় ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় ধ্বংসস্তূপ থেকে গতকাল ক্ষতবিক্ষত আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। এ নিয়ে বিকাল পর্যন্ত ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জন হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ১০ জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত কারখানার ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে আরও হতাহতদের খোঁজে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালান। সর্বশেষ দুইজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনদের দাবি।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের ইন্সপেক্টর আবদুল খালেকসহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের কাশিমপুর নয়াপাড়া এলাকার মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় সোমবার সন্ধ্যায় বয়লারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানার একটি চারতলা ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার দুই পাশের দেয়াল, দরজা-জানালা ও মেসিনপত্র উড়ে যায়। কারখানায় বিস্ফোরণ ও ভেঙে পড়া কাঠামোর নিচে চাপা পড়ে এবং বিস্ফোরিত বয়লারের টুকরোর আঘাতে কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন এবং প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন। ঘটনার রাতে কারখানার ভিতরের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় ৯ জনের লাশ এবং আহত ৪৭ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আহতদের মধ্যে আরও তিন জন মারা যান। ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার সকালে ধ্বংসস্তূপ থেকে ক্ষতবিক্ষত আরও একজনের লাশ এবং গতকাল বিকালে আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। ঈদের ছুটির পর ওই পোশাক কারখানাটি মঙ্গলবার খোলার কথা ছিল। তবে সোমবার ডাইং ইউনিটের বয়লার সেকশনটি চালু করা হয়। কারখানার চার তলা ভবনের নিচতলার ডাইং ও ফিনিশিং সেকশনে এবং দ্বিতীয় তলার নিটিং সেশনে অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিল। এ ভবন সংলগ্ন একটি টিন শেডে ৭ টন ও ১০ টনের দুইটি বয়লার ছিল। সোমবার এ বয়লার দুটি চালু করা হয়। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ৭ টনের বয়লারটি হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। স্থানীয়রা ও উদ্ধারকর্মীরা জানান, এ ঘটনায় হতাহতদের প্রায় সবাই শ্রমিক। তবে কারখানার সামনের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী কয়েকজন সাধারণ পথচারীও এ ঘটনায় আহত হন। বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের কারখানার ভবনগুলো কেঁপে উঠে এবং দরজা-জানালার কাচ ভেঙে হয়ে যায়। বিস্ফোরিত বয়লার টুকরো টুকরো হয়ে অন্তত ৫শ গজ দূরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। এক শ্রমিকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় দুইশ গজ দূরে এক ভবনের চালের ওপর গিয়ে পড়ে। এছাড়াও নিহত আরও কয়েক শ্রমিকের ছিন্নভিন্ন দেহ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে। ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা এসে হতাহতদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, সাভার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠাতে থাকে। জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী ও সাভার ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম, কারখানার চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন ফারুক, ফায়ার সার্ভিস ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিখোঁজ দুইজনের স্বজনদের আহাজারি : গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, এখনো দুইজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াহেদের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং ফেনী সদরের মাছিমপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে এরশাদ উল্লাহ। নিখোঁজ সদস্যদের স্বজনদের অনেকেই ঘটনাস্থলে আহাজারি করছেন। তারা অন্তত মরদেহটি দাফনের জন্য পেতে চান।

বিস্ফোরিত বয়লারটি নবায়ন করা ছিল না : মাল্টিফ্যাবস কারখানায় বিস্ফোরিত বয়লারটি নবায়ন করা ছিল না। বয়লারটি নবায়নের শেষ দিন ছিল গত ২৪ জুন-২০১৭। মঙ্গলবার দুপুরে বয়লার পরিদর্শক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের গঠিত আট সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাতটি কারণ সামনে রেখে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। প্রধান বয়লার পরিদর্শক জানিয়েছেন, বয়লারটি নবায়নের শেষ তারিখ ছিল গত ২৪ জুন। তারপরও বয়লারটি নবায়ন করা হয়নি। এই সামান্য কয়েকদিনের জন্য এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটবে, এটা আমরা মনে করি না। তারপরও এটি একটি কারণ হিসেবে নিয়ে তদন্ত কাজ চলছে।

দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস : এদিকে গতকাল দুপুরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিহতদের পরিবার পাবে ৮ লাখ টাকা : বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবার ৮ লাখ টাকা করে পাবে। গতকাল দুপুরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবার বীমার খাত থেকে ২ লাখ এবং শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান বাবদ আরও ৩ লাখ অর্থাৎ মোট ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কারখানার চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন ফারুক জানান, এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে কারখানার পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও হতাহতদের পরিবারের কোনো সদস্য কারখানায় চাকরি করতে চাইলে তাদের চাকরি দেওয়া হবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের দাফন-কাফন ও লাশ বহনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত ১০ জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

নিহতের সংখ্যা ১৩ জনে উন্নীত : কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে গতকাল সকালে একজনের এবং বিকালে আরও তিনজনের লাশ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। অপর ৯ জনের লাশ ঘটনার রাতেই উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের পরিচয় ও লাশ হস্তান্তর : নিহত ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোরশেদ জানান। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার কুন্তা গ্রামের মৃত সাগর আলী মীরের ছেলে কারখানার সহকারী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান (৩৭), বগুড়ার সোনাতলা থানার নামাজখালী হরিমালী গ্রামের শাহার আলীর ছেলে মাহবুবুর রহমান (২৩), চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার বামনসুন্দর দারোগারহাট গ্রামের মৃত মোকছেদ আহমেদের ছেলে কারখানার বয়লার ইনচার্জ আবদুস সালাম (৫৫), চাঁদপুর সদরের মদনা বাছুরপুর গ্রামের বাচ্চু ছৈয়ালের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩০), রাজবাড়ী গোয়ালন্দ থানার চরকাছনন্দ বরাট বাজার এলাকার মনিন্দ্রনাথ শীলের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র শীল (৩৮), চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার কাটাছড়া বঙ্গনূর জোড়ালগঞ্জ এলাকার লুত্ফুল হকের ছেলে মনসুরুল হক (৩০), মাগুরার হরিশপুর থানার গোবরা গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে ফায়ারম্যান আল আমিন (৩০), চট্টগ্রামের মোড়লগঞ্জ থানার ইছাখালী মাতবরহাট এলাকার নুরুল মোস্তফা চৌধুরীর ছেলে আরশাদ হোসেন চৌধুরী (৩৬), নওগাঁর চকরামপুর স্কুলপাড়া এলাকার মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার মরিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে সোলেমান মিয়া (৩০)। এদের মধ্যে ৯ জনের লাশ গতকাল বিকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। অপর নিহত সোলেমান মিয়ার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বিকালে উদ্ধারকৃত ৩ জনের পরিচয় সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

তদন্ত কমিটি : বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে বয়লার বিস্ফোরণে সংঘটিত দুর্ঘটনার কারণ, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশমালা উল্লেখপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জমা দিতে কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের এ পোশাক কারখানাটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কারখানায় সুইডেন, ডেনমার্ক, জার্মানি, জাপান, রাশিয়া, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও ইউকেসহ বিভিন্ন দেশের কাজ করে থাকে।

‘কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা বাড়ছে’ : বয়লার দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সুরক্ষার তাগিদ দেওয়ার পরও এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট অবহেলা রয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এবং গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক এর আয়োজন করে। গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং শ্রমিকের প্রাণহানির পাশাপাশি প্রতিবেশী এবং পথচারীরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বয়লার বিস্ফোরণের কারণ সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করা, নিহত শ্রমিক পরিবার এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি সারা দেশে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে শ্রম আইন বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের সভাপতি কামরুল আহসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত অপর এক প্রতিবাদ সমাবেশে বলা হয়, শ্রমিকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরূপে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ। এ কারণেই বয়লার বিস্ফোরণের মতো ঘটনা বারবার ঘটছে। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিউয়ন কেন্দ্র এ কর্মসূচির আয়োজন করে। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর