বুধবার, ৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
অ্যাসিড নিক্ষেপে ছাত্রী হত্যা

কুমিল্লায় প্রেমিক যুবকের ফাঁসি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২০১২ সালে অ্যাসিড নিক্ষেপে মাদ্রাসা ছাত্রী ফারজানা আক্তার হ্যাপি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। বাকি ছয়জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেন দাউদকান্দির জামালকান্দি গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। গতকাল দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক এম আলী আহমদ এ রায় দেন। রায়ের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী দাউদকান্দির সোনাকান্দা গ্রামের হ্যাপির বাবা কাজী জালাল উদ্দিন ও বোন মাকসুদা  বেগম। মামলা ও আদালতের সূত্র জানায়, ২০১২ সালে দাউদকান্দি খন্দকার মোশাররফ হোসেন মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার হ্যাপিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় পাশের জামালকান্দি গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন। প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ওই বছরের ১১ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে গিয়ে জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছোড়ে সাদ্দাম ও অন্যরা। এতে হ্যাপিসহ তার বোনের ছেলে ফয়সাল মাহমুদ, কাজের মেয়ে খাদিজা আক্তার আহত হয়। হ্যাপিকে ঢাকা অ্যাসিড সারভাইভাস ফাউন্ডেশনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ দিন পর ওই হাসপাতালে হ্যাপি মারা যায়। ১২ নভেম্বর হ্যাপির বাবা দাউদাকন্দি থানায় সাদ্দামসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার দুই মাস পর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত সাদ্দামকে ফাঁসি এবং অপর ছয়জনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জামালকান্দির তারেক হোসেন জনি, সোনাকান্দার রাসেল মিয়া, শাহদাত হোসেন বাবু, আমিন উদ্দিন, মো. শাহিন ও আসমা আক্তারকে বেকসুর খালাস দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি নুরুল ইসলাম। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মমিন ফেরদৌস, জসিম উদ্দিন শিশু ও আলী আক্কাস। নিহতের বড় বোন মাকসুদা জানান, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট নই। বোনের সব হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। আসামি পক্ষের আইনজীবী আলী আক্কাস বলেন, ন্যায় বিচার হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীর সাজা হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে বাদী পক্ষ অন্যদের আসামি করেছে।

সর্বশেষ খবর