মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

চিকুনগুনিয়া ঝুঁকিতে বয়স্করাও

নিজস্ব প্রতিবেদক

মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা না গেলেও প্রচণ্ড ব্যথা এবং যন্ত্রণায় ঝুঁকিতে রয়েছেন বৃদ্ধ এবং ক্রনিক রোগীরা। ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, হৃদরোগ, ক্যান্সার, হাঁপানি রোগীরা মূলত উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। তাই তাদের এ সময় বাড়িতে শুধু প্যারাসিটামল না খেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরেজমিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি রোগী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের অধিকাংশেরই উপসর্গ চিকুনগুনিয়ার। আর সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছেন বয়স্ক রোগী। শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ আগে থেকে থাকায় তাদের পড়তে হচ্ছে নতুন সমস্যায়। শরীরের গিঁটে গিঁটে ব্যথা হওয়ায় শয্যাশায়ী হয়ে গেছেন অনেকে। ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশের বয়স ৬০-এর বেশি। তাদের বেশির ভাগই ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বৃদ্ধ এবং ক্রনিক রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ড. এ বি এম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, বয়োবৃদ্ধ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ও সহ্য করার ক্ষমতা অনেক কম। এই বয়সে এসে চিকুনগুনিয়ার মতো জ্বর হলে গিরায় গিরায় যে  প্রচণ্ড ব্যথা হয়, এ ধকল তারা সইতে পারেন না। যদিও তাদের জন্য আলাদা  চিকিৎসা নেই, তারপরও বৃদ্ধদের  ক্ষেত্রে চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। প্রয়োজনে কয়েক দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা উচিত। শুধু প্যারাসিটামল খেয়ে ঘরে শুয়ে থাকলে চলবে না।

সর্বশেষ খবর