সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালত। গতকাল যুক্তরাজ্য হাই কোর্টের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, জনসমক্ষে জানা তথ্যের পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে তুলে ধরা গোপনীয় তথ্যগুলো বিবেচনায় নিয়ে আদালত এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাজ্য থেকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ করতে ‘ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট দ্য আর্মস ট্রেড’-এর করা মামলায় আদালত এ রায় দিয়েছে। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। মামলাটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার একটি বড় ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে ইসলামি উগ্রবাদ প্রচারে সৌদি আরবের অর্থায়ন ও সমর্থন নিয়ে চলমান অভিযোগ ও বিতর্কের মধ্যেই আদালত এমন রায় দিল। যুক্তরাজ্য বিভিন্ন দেশে ইসলামি উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে- সৌদির কেনা অস্ত্র বিভিন্ন হাত ঘুরে ওই সব গোষ্ঠীর কাছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। সৌদি আরবের নেতৃত্বে সুন্নি অধ্যুষিত আটটি দেশ ইয়েমেনে নিজেদের পছন্দের সরকার রক্ষায় দেশটিতে হামলায় লিপ্ত। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে সৌদি জোটের বিমান হামলায় হাজার হাজার নিরীহ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কোনো দেশ বা সরকার যদি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে ওই দেশের কাছে অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করা যায় না। এই রায়ের পর ‘ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট আর্মস ট্রেড’-এর অ্যান্ড্রু স্মিথ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আপিলে যদি এ রায় বহাল থেকে যায়, তবে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের তোয়াক্কা না করা সৌদি আরবের মতো ‘বর্বর’ একনায়কতন্ত্রের কাছে আরও অস্ত্র বিক্রি উৎসাহিত করবে।
