মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশে এক ব্যক্তির দুঃশাসন চলছে

----- মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। চলছে এক ব্যক্তির দুঃশাসন, এক ব্যক্তির শাসন। এ থেকে বেরিয়ে আসতে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় দেখিয়েও আর কোনো লাভ নেই। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর) সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম-২০১৭ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। মহানগর (উত্তর) বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে নাসির উদ্দিন, সবুজ মিয়া, আমান উল্লাহ ভুঁইয়া, মো. বাসেত, সোহেল রানা, মেহেরুন্নেসাসহ বেশ কয়েকজন দলের মহাসচিবের হাত থেকে নতুন সদস্য ফরম সংগ্রহ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে মিথ্যা মামলা। তাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। এখন আর কোনো ভেদাভেদ নেই। একটাই কাজ এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলেই বিএনপি সহায়ক সরকার চায়। প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না— এই দাবি অতীতে আওয়ামী লীগেরই ছিল। দেশের রাজনীতিতে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিতে পারত। কিন্তু আওয়ামী লীগ অনির্বাচিতভাবে ক্ষমতায় এসে সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। বিরাজনীতিকীকরণের মাধ্যমে দেশকে গণতন্ত্র ও রাজনীতির বাইরে নিয়ে যেতে এই সরকার উঠে-পড়ে লেগেছে। তাই সরকারকে বলব দাম্ভিকতা ও অহংকার ছেড়ে মানুষের কথা চিন্তা-ভাবনা করে আলোচনার ব্যবস্থা করুন। কারণ সবাই এখন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে আওয়ামী লীগই দিয়েছিল। এ বিষয়ে সমালোচনা করা তাদের জন্য লজ্জাকর।

সর্বশেষ খবর