শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

অপহরণ নয়, স্বেচ্ছায় খুলনা গেছেন মজহার

----- আইজিপি

বিশেষ প্রতিনিধি

পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, কবি প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, তিনি অপহূত হননি। স্বেচ্ছায় খুলনা গিয়েছিলেন। গতকাল দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। শহীদুল হক বলেন, ফরহাদ মজহারকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও বিবৃতির মাধ্যমে সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক। সরকারকে বিব্রত ও বিপাকে ফেলার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায় ফরহাদ মজহার ঘটনার দিন বিকাল ৪টা ২১ মিনিট থেকে ৬টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত খুলনা নিউমার্কেটে ছিলেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ফরহাদ মজহার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবী। ওই দিন সকালে যখন অপহরণের অভিযোগ থানায় আসে তখনই পুলিশ তাকে উদ্ধারে তৎপর হয়ে ওঠে। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান এলাকার তথ্য জানার পর বিভিন্ন চেকপোস্টে প্রত্যেকটি মাইক্রোবাস চেক করা হয়। ঢাকা থেকে তিনি কীভাবে খুলনা গেলেন জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, পুলিশের ধারণা তিনি বাসেই গেছেন এবং বাসেই ঢাকায় আসার পথে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফরহাদ মজহারের ব্যবহূত মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে দেখা যায় অপহরণ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত ফরহাদ মজহার ১০ বার মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তার অন্য আরেকটি নাম্বার থেকে অপর এক নারীর সঙ্গে ছয়বার কথা বলেছেন। যার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন তিনি ভাটারায় থাকেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম চলে যান। ওই নারী ফরহাদ মজহারের এনজিওতে চাকরি করতেন। অপহরণ ঘটনার আগের দিনও ওই নারীর সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। কথা বলার পর ফরহাদ মজহার অনেকটা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। ঘটনার আগে পরে যেহেতু ওই নারীর প্রসঙ্গ ছিল, সেহেতু তার বক্তব্য নেওয়াও পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ফরহাদ মজহার খুলনায় পৌঁছানোর পর রকেট সার্ভিসের মাধ্যমে একবার ১৩ হাজার ও আরেকবার ২ হাজার টাকা ওই নারীর জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানান আইজিপি।

সর্বশেষ খবর