শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সরকারি ২৭৮টি বাড়ি অবৈধ দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি ২৭৮টি বাড়ি অবৈধ দখলে

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরকারি আবাসন পরিদফতর ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অধীনে থাকা মোট ২৭৮টি বাড়ি বেদখল রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি আবাসন পরিদফতরের অধীন মোট ১২৪টি পরিত্যক্ত বাড়ি এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অধীন মোট ১৫৪টি বাড়ি বেদখলে রয়েছে। এসব বাড়ির বসবাসকারীরা বিভিন্ন আদালতে মামলা করে অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শামসুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এসব বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দৈনিক ২৫০ টাকা কিস্তিতে ফ্ল্যাট : সরকারদলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী জানান, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকার মিরপুরের ১১ নম্বরে বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ওই প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ২৫০ থেকে ২৭৫ টাকা কিস্তি ব্যাংকে জমা দিয়ে তারা ৬৫৭ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের মালিক হবেন। প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। প্রস্তাবিত ফ্ল্যাটের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ ২৬ হাজার। ২৫ বছরের মাসিক/দৈনিক কিস্তিতে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ করা যাবে। মাসিক কিস্তি হবে ৬ হাজার ৭৫৩ টাকা।

কৃষিজমিতে ভবন নির্মাণ নয় : সালমা ইসলামের (ঢাকা-১) প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার মোশারাফ হোসেন জানান, দেশের কৃষিজমি রক্ষার স্বার্থে কৃষিজমিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। এ  লক্ষ্যে পরিকল্পিত আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ। এ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর কৃষিজমিসহ জলাশয়/জলাভূমি রক্ষাকল্পে ইতিমধ্যে সরকার একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানে (২০১২-১৫) অকৃষি জমি ব্যবহার ও কৃষিজমি ব্যবহার রোধে নির্দেশনা রয়েছে। এ সময় তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্তমানে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ২৩টি আবাসিক প্লট, উন্নয়ন প্লটসহ মোট ৪১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর বাইরে আরও ২৭টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী জানান, রাজউকের অধীনে যে তিনটি প্রকল্প এখন রয়েছে, সেগুলো হলো পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় পর্ব ও ঝিলমিল—এগুলোর বয়স ২৫ বছর হয়ে গেছে। এর মধ্যে ঝিলমিল প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব ৯৮ ভাগ শেষ হয়েছে। পূর্বাচল প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখানে যেসব প্লট আছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংসদ সদস্য পেয়েছেন। রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী এসব প্লট যারা পাওয়ার যোগ্য তারা পেয়েছেন। বর্তমান সংসদের যেসব সদস্য প্লট পাননি, তাদের জন্য চিন্তা করা হচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। কয়েকটি জায়গা অধিগ্রহণ করে সেখানে তাদের জন্য প্লটের ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বশেষ খবর