বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া মামলার ভয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন, এ কথা কোনো আহাম্মকও বিশ্বাস করবে না। যারা এ ধরনের কথা বলছেন এবং চিন্তা করছেন, তাদের উচিত আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা। তিনি বলেন, বরং আওয়ামী লীগেরই পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে, আমাদের নয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ‘হেল্প সেল’ নামের একটি সংগঠন আয়োজিত নিখোঁজ, গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা কাদের গনি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী, যুবদলের মামুন হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যুক্তরাজ্য থেকে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অতীত ইতিহাস বলে যিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তিনি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বন্দুকের নলে ক্ষমতায় আসেননি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ বছর লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছেন। বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ আওয়ামী দুঃশাসনের জাঁতাকলে পড়েছে। কার কাছে বিচার চাইব, কার কাছে জবাব চাইব। বর্তমান সরকার হিটলারের দলকেও অতিক্রম করেছে।

অথচ তারা মাঝেমধ্যেই চিৎকার করে বলে- বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল। সেই রোল মডেল হচ্ছে কীভাবে নির্যাতন করা যায়, ভিন্নমত দমন করা যায় এবং অসহায় মানুষদের কীভাবে কুপিয়ে হত্যা করা যায়। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আবারও সরকারের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। তাই বিএনপি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছে। যাতে করে সেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পায়। অন্যথায় আগামী নির্বাচনে জনগণই আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করবে।