রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছে আওয়ামী লীগ

------- প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয়। ধর্মের নামে হত্যা-সন্ত্রাস কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ধর্ম শান্তির জন্য, কিছু মানুষ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময়ই ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তিনি বলেন, হজযাত্রায় সব ধরনের অনিয়ম দূর করা হয়েছে। এখন হাজীদের প্রতারণা কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

গতকাল সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে এ বছরের হজ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বজলুল হক হারুন, সৌদি দূতাবাসের ডেপুটি কাউন্সিলর সালেহ আল মুতাইরি, ধর্ম সচিব আবদুল জলিল বক্তৃতা করেন। পরে দেশ ও জাতির বৃহত্তর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম হজ ফ্লাইট আগামীকাল সকালে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে এবং ২৬ আগস্ট পর্যন্ত এই হজ ফ্লাইট চলবে। এ বছর বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইনস ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সবসময় ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। ধর্ম ও ইসলামী সংস্কৃতি শিক্ষা প্রসারে প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ওমরাহ নীতিও করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে। কোথায় কোথায় সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে হজ মিশন মক্কায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারবেন। দেশের যেখান থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করতে পেরেছেন। হজবিষয়ক ওয়েবসাইটও করা হয়েছে। হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবার থেকে প্রাক-নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগে হজের টাকা জমা দিতে গিয়ে অনেকে প্রতারণার শিকার হতেন। এসব ঘটনায় জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব ধর্মাবলম্বী মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সে জন্য দোয়া করতে হজযাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা পবিত্র জায়গায় যাচ্ছেন-দোয়া করবেন। ধর্মের নামে যারা বিভ্রান্তির পথে যাচ্ছে আল্লাহ যেন তাদের সুপথে আসার পথ করে দেন। আমাদের দেশের মানুষ যেন একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং উন্নয়নের গতি ধারাটা যেন আমরা অব্যাহত রাখতে পারি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক সেটাই আমরা চাই। যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে তাদের যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিচার করার শক্তি দেন এবং তাদের মনমানসিকতাটা যেন পাল্টে দেন। তাদের যেন হেদায়েত করেন- সেটাই আমরা চাই। আমাদের পবিত্র ধর্ম, মানবতার ধর্ম ইসলামের বদনাম যেন কেউ করতে না পারে। হাজীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমাদের এতিম দুই বোন ও আমাদের নাতি-নাতনিদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন সুস্থ থাকতে পারি। আমাদের লক্ষ্য একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। দোয়া করবেন প্রত্যেক মানুষকে যেন ঘরবাড়ি তৈরি করে দিতে পারি। কেউ গৃহহীন থাকবে না, প্রত্যেক ঘরে আলো জ্বলবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে, আগামীতেও এটা অব্যাহত থাকবে। আপনাদের যেন আমরা আরও সেবা করতে পারি সে জন্য দোয়া করবেন।

সর্বশেষ খবর