সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি করতে সুপ্রিম কোর্টই পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি করতে সুপ্রিম কোর্টই পারে

ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা তৈরিতে আইন মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রীর দরকার নেই। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির  নেতৃত্বে উচ্চ আদালতই (আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগ) এ বিধিমালা করতে পারে। গতকাল মাসদার হোসেন মামলার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম এ বিষয়ে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেন। এদিকে শৃঙ্খলা বিষয়ক বিধিমালার গেজেটের বিষয়ে আরও দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। অ্যাটর্নি  জেনারেল মাহবুবে আলম চার সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানান। শুনানি শেষে দুই সপ্তাহ সময় দেয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ।

পরে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ১৭ বছর আগে একই আবেদন করেছিলাম। তখন প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল রায়ে বলেছিলেন, ‘রুলস প্রণয়নে একটি আইনি বাতাবরণ থাকা দরকার। ১৭ বছর পরেও এসে আবেদন করে বলেছি, বিচারপতি মোস্তফা কামালের ওই রায়ের অংশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করতে হবে। কারণ, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে। এজন্য সুপ্রিম কোর্ট এ রুলস প্রণয়ন করে শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে  দেখিয়ে এলেই হয়। এখানে মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দরকার  নেই। ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে আপিল বিভাগ যে রায় দেয়, তাতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা তৈরির নির্দেশনাও ছিল। মাসদার  হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে এর আগে এক শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ। পরে ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেই সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়কে তা চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়।

সর্বশেষ খবর