মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি ওয়াটকিনস বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তাকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের যাতে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, সেজন্য জাতিসংঘকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, রবার্ট ওয়াটকিনস সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাদের হিসাব অনুযায়ী এই দফায় প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও বহু মানুষ শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক প্রতিনিধি। মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের কারা অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করছে; তা খুঁজে বের করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া বৃদ্ধ ও শিশুদের দুর্ভোগের কথা এবং এই শরণার্থীদের তালিকা তৈরি করতে বিজিবিকে নির্দেশ দেওয়ার কথাও প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন। রবার্ট ওয়াটকিনস প্রধানমন্ত্রীকে জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পুরো বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে দেখছেন। রাখাইনের ওই পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট সংকটে মানবিক দিক থেকে যা করণীয় বাংলাদেশ তাই করছে বলেও মন্তব্য করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের চিহ্নিত করতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সাহায্য করতে পারে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের এ ধরনের সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ তাকে স্বাগত জানাবে। অন্যদের মধ্যে মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।