বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে। আর সরকার নিশ্চুপ রয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উচিত বিদেশ সফরে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে সমস্যার সমাধান করা। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত, চীনসহ অবিলম্বে বিভিন্ন দেশ সফরে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যথাসময়ে কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, সাবিনা ইয়াসমিন, রওশন আরা ফরিদ, জেলী চৌধুরী, রহিমা শরীফ মায়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিয়ানমার তার নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে এদেশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। যা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অনির্বাচিত এ সরকার নৈতিকভাবে দুর্বল বলেই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কারণ তারা জবরদখল করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য সরকারকে দ্রুততার সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেই বিভিন্ন দেশে সফরে যেতে হবে। ফখরুল বলেন, ‘আজকে ভারত ও চীনের কথা বলা হচ্ছে। বারবার যে তারা মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কাছেও যেতে হবে, তাদের বোঝাতে হবে যে, এটা আমাদের কী ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে। তারা বলে যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অস্ত্র ও জঙ্গি আসছে, যা আমাদেরকেও উৎকণ্ঠিত এবং আতঙ্কিত করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যে সরকার নির্বাচনকালে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনও নিরপেক্ষ হতে হবে। তিনি বলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায় না। কারণ তারা ভালো করেই জানে যে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না।