বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

৪০ হাজার রোহিঙ্গার পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, থাইংখালী কক্সবাজার থেকে

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াল দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। কয়েক ধাপে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পোশাক-পরিচ্ছদসহ অতি প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। গতকালও অন্তত ১২ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে লুঙ্গি, মহিলাদের থামি, শিশুদের পোশাক, জিন্স প্যান্ট, সোয়েটার ও মশারি। থাইংখালীর তাজনিরমার ঘোনা ও জামতলীর বাঘঘোনায় এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরার পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করেন আলহাজ মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে কুতুপালং নতুন ক্যাম্প, বালুখালী ও থাইংখালীতে ১৫০টি গভীর নলকূপ ও ৬০০ স্যানিটেশন নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩০০ স্যানিটেশন তৈরি করা হয় মহিলাদের জন্য। আজ ও আগামীকাল দুই দিন পর্যায়ক্রমে কুতুপালং অস্থায়ী ক্যাম্প-১ ও ২, বালুখালী অস্থায়ী ক্যাম্প-১ ও ২ এবং থাইংখালীর হাকিমপাড়া ক্যাম্পে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। ত্রাণের তালিকায় রয়েছে টিনও।

তাজনিরমার ঘোনা ক্যাম্পে ত্রাণ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন জমিলা খাতুন নামে এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘আই থামি হর পরি। ইয়ার আগে বহুত কেয়াই শাড়ি-হাফর দিল। যেগিন আঁরা ব্যবহার গরিত ন জানি। থামির রঙও আঁর ফছন্দ অইয়ি (আমরা থামিই ব্যবহার করি। এর আগে অনেকেই শাড়িসহ অন্যান্য কাপড়চোপড় বিতরণ করে, যা আমরা ব্যবহার করতে জানি না। থামির রংও আমার পছন্দ হয়েছে)।’ এ সময় আলহাজ মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময়ই দেশ ও জনগণের পক্ষে। বিশেষ করে আর্তমানবতার সেবায় সব সময় এ গ্রুপ এগিয়ে যায় সবার আগে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যাদুর্গত এলাকায়ও এই শিল্প পরিবারটি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বিপুল ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে। যথারীতি রোহিঙ্গাদের পাশেও দাঁড়িয়েছে। এই ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’

সর্বশেষ খবর