বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রকাশ্যে বর্বরতা

কিশোরকে খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

কিশোরকে খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চোর সন্দেহে সাগর মিয়া (১৭) নামের এক কিশোরকে খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করেছে আক্কাছ আলী নামের এক হ্যাচারি মালিক। পরে ওই কিশোরের লাশ গুম করে ফেলেন আক্কাছ। সোমবার   সকালে উপজেলার চরশিরামপুর গ্রামের গাউছিয়া নামের একটি মত্স্য হ্যাচারিতে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সকালে ঘটলেও জানাজানি হয় সোমবার রাত ১০টার দিকে। গতকাল পুলিশ হ্যাচারির পাশের একটি খেত থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। নিহত সাগর ময়মনসিংহ নগরের নাটকঘর লেনের রেলওয়ে বস্তিতে থাকত। জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টার দিকে গাউছিয়া মত্স্য প্রজনন কেন্দ্র ও হ্যাচারিতে একটি পানির মোটর চুরির চেষ্টাকালে সাগরকে আটক করে হ্যাচারির লোকজন। পরে হ্যাচারি মালিকের নির্দেশে আটক কিশোরকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে কাজের ছেলে কাইয়ুমসহ আরও সাঙ্গোপাঙ্গরা লাঠিসোঁটা ও গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেয়। ডৌহাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক সরকার বলেন, ‘অনেকের মোবাইল ফোনে খুঁটিতে বাঁধা এক কিশোরের রক্তাক্ত শরীর, মাথা নিচের দিকে হেলে পড়ার ছবিও দেখেছি। কিন্তু তার লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।’ স্থানীয়রা জানান, সকাল ৭টার পর কিশোরের আর দেখা না মেলায় হ্যাচারি মালিক জানান, মারধরে আহত হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোথায় পাঠানো হয়েছে তার উত্তর দিতে পারেননি তিনি। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশও সোমবার বিষয়টির কোনো কিনারা করতে পারেনি। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক সরকারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশে ব্যাপক তল্লাশি করে হ্যাচারির পাশের একটি খেত থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই আক্কাছ আলী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। নিহত কিশোরের বাবা শিপন মিয়া বলেন, ‘এর আগে আমার সন্তানের বিরুদ্ধে কোনো চুরির অভিযোগ ছিল না। সাগর ভাঙাড়ি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত দুই দিন সে নিখোঁজ ছিল।’ গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহাম্মদ জানান, হ্যাচারির মালিক আক্কাছ আলীকে প্রধান আসামি করে সাগরের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্কুলছাত্রের গলা কাটা লাশ উদ্ধার : বেনাপোল প্রতিনিধি জানান, যশোরের বেনাপোল সীমান্তে গতকাল সকালে মানকিয়া কোদলারহাট মাঠ থেকে ওমর ফারুক (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। নিহত ছাত্র বেনাপোল পোর্ট থানার সরবানহুদা গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে এবং কোদলারহাট হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। ওমর ফারুকের মামা আজগার আলী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হয় সে।

এ সময় তার সঙ্গে মোবাইল ফোন ও বাইসাইকেল ছিল। রাতে বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে চাষিরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে ধান খেতে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে লাশ শনাক্ত করা হয়। হত্যাকারীরা তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও সাইকেল ছিনিয়ে নেয়। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করেছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সর্বশেষ খবর