শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঘুষ-দুর্নীতি বেড়েছে জেলা উপজেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুষ-দুর্নীতি বেড়েছে জেলা উপজেলায়

ইকবাল মাহমুদ

ঘুষ-দুর্নীতি বেড়েছে জেলা ও উপজেলায়। দুদকের গণশুনানির মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা সংস্থার দুর্নীতির চিত্র ফুটে ওঠেছে। মনিটরিং ও ফাঁদ পেতে এসব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণের আস্থা অর্জন করতে—দুদক নিরলসভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি গতকাল ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অ্যান্টি-করাপশন অ্যাডভাইজর জোরানা মার্কোভিকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিদেশে অবৈধ অর্থ পাচার ঠেকানো বাংলাদেশের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অনেক সমস্যা থাকতে পারে। সীমাবদ্ধতাও আছে। দক্ষ মানবসম্পদের অভাব দুদকের জন্য বড় সমস্যা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অ্যান্টি-করাপশনের অ্যাডভাইজর জোরানা মার্কোভিক, কনসালট্যান্ট রিচার্ড ই মেসিক, দুদক মহাপরিচালক মো. মঈদুল ইসলাম, মো. আতিকুর রহমান খান, মো. জাফর ইকবাল, মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী প্রমুখ। কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, সাইবার ক্রাইম, অর্থ পাচার, দুর্নীতির অনুসন্ধান বা তদন্ত করার মতো দক্ষ মানব সম্পদের অভাব রয়েছে দুদকের। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কী ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে তা আমাদের অনেকের জানা নেই। আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের স্বার্থে আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। দুদক জনগণকে সেবা দিতে চায়। বর্তমান কমিশন কাউকে হয়রানি করার জন্য বা কারও পক্ষে কাজ করবে না। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ট্রেড-বেইজড মানি লন্ডারিং বাংলাদেশের জন্য এখন বড় হুমকি। কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রতি অধিকতর গুরুত্বারোপ করছে। কমিশন চায় সরকারি সেবা প্রদানের পদ্ধতিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দুর্নীতির উৎস বন্ধ করতে। এক্ষেত্রে তিনি ভূমি ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে ঘুষ ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া কমিশনের সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিট না থাকায় মামলা নিষ্পত্তির পরও জনগণের সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যাচ্ছিল না। তাই দুদকের নিজস্ব সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বা উত্তর-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জ্ঞান শেয়ার করতে চাই। আমরা অন্যান্য দেশের বা সংস্থার উত্তম চর্চাসমূহ আমাদের মতো করে বাস্তবায়ন করতে চাই। এক্ষেত্রে ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম-এর সহযোগিতা কামনা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দক্ষিণ-দক্ষিণ দেশসমূহের সংস্কৃতি, সমস্যা এমনকি দুর্নীতির প্রকৃতিও প্রায় অভিন্ন। তাই কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রতিনিধি দলকে জানান জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের বিধান অনুসারে কমিশন ইতিমধ্যেই ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর