সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সরকার চাপ প্রয়োগ করছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার চাপ প্রয়োগ করছে : রিজভী

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশ ত্যাগের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বলপ্রয়োগ করে এক মাসের ছুটি দেওয়ার ঘটনার পর এখন প্রধান বিচারপতিকে দেশ ত্যাগের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা প্রতিনিয়ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারলেও সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বারবার চেষ্টা করে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এখন পর্যন্ত দেখা করতে পারেননি। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধান বিচারপতি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও অব্যাহত চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তার অসুস্থতার কথা বলা হচ্ছে। চিকিৎসার নামে ডাক্তার পাঠানো হচ্ছে। বলপ্রয়োগ করে তাকে এক মাসের ছুটি দেওয়ার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক। ছুটির দরখাস্তে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছে সরকারের লোকেরা। নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে তার দরখাস্তে ৯টি শব্দের বানানে ভুল। সন্ত্রাসী কায়দায় প্রথমে প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দী করে রাখার পরে এখন নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে। বর্তমান সরকার কতখানি বেপরোয়া ও নীতিজ্ঞানহীন স্বৈরাচার হতে পারে তার পরিমাপক যন্ত্র এখনো আবিষ্কার হয়নি। একটা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল এই সরকার। যা সরকারের নির্লজ্জ নাটক। জনগণ সরকারের এসব সাজানো নাটক তিল পরিমাণও বিশ্বাস করে না। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেই সরকারের উদ্দেশ্য সাধিত হয় এবং একদলীয় শাসনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে বিলম্ব হবে না।  নিজের দুর্বিনীত ইচ্ছাকে এখন জুডিশিয়াল টেররিজমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে এ সরকার। আইনি খোলসের মধ্যে সরকারবিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা হবে।

রোহিঙ্গা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের দিক থেকে নাকি যুদ্ধের উসকানি ছিল। যদি তাই থেকে থাকে তাহলে— অসহায় মুসলিম রোহিঙ্গাদের এত লাশ আর রক্তস্ত্রোতকে ডিঙ্গিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে চাল আনতে পাঠালেন, আবার সু চির দূত হিসেবে বাংলাদেশে আসা মন্ত্রীকে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে রাজি করাতে সক্ষম হননি কেন? প্রধানমন্ত্রীর শনিবারের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ অসত্য, প্রবঞ্চনামূলক ও জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার শামিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

সর্বশেষ খবর