শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইপিজেড করতে রোহিঙ্গাদের তাড়াচ্ছে মিয়ানমার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইপিজেড করতে রোহিঙ্গাদের তাড়াচ্ছে মিয়ানমার

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাসহ (ইপিজেড) বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান-শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করতেই সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে মিয়ানমার যাই চাক কূটনৈতিক উপায়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চলছে। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) কোরিয়ান শোকেস প্রদর্শনী উদ্বোধনের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, নতুন করে মিয়ানমার থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আগে আরও ছিল। মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন থেকে আরও রোহিঙ্গা তাড়িয়ে সেখানে ইপিজেড তৈরি করবে। মন্ত্রী বলেন, সেখানে অনেক মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। সেইগুলোও মিয়ানমারের নজরে আছে। তবে কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সব প্রচেষ্টা সরকার করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। তারপরও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দেশের ওপর বাড়তি চাপ। মিয়ানমার সরকার তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করতে জঘন্য অত্যাচার চালাচ্ছে। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ববাসীকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সিয়ং-ডু, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল, ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন খান ও এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডওয়ার্ড কিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মেলায় চলছে কোরিয়ান পণ্যে বিশেষ ছাড় : আয়োজিত মেলায় কোরিয়ান পণ্যে চলছে বিশেষ ছাড়। কোরিয়ায় উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য কেনার ওপর এ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে স্যামসাং মোবাইলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরনের কোরিয়ান সামগ্রীর বাংলাদেশি আমদানিকারক এবং পরিবেশকরা অংশ নিয়েছেন। এ প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ থাকছে সর্বাধুনিক ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য, মোটরগাড়ি, টেক্সটাইল এবং অন্যান্য মেশিনারি সরঞ্জাম ও আনুষঙ্গিক উপকরণ, প্রসাধনী, এলিভেটর, জেনারেটর, খাদ্য ও পানীয় ছাড়াও আরও অনেক কিছু। বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত রপ্তানি পণ্যের বিশাল সমাহার রয়েছে প্রদর্শনীতে। বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান ৪০টি কোম্পানি এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। এতে প্রায় ৮০টি স্টল রয়েছে। প্রদর্শনীর আয়োজক কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন খান বলেন, কোরিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি কমাতে আমাদের প্রদর্শনী বিশেষ ভূমিকা রাখবে। শোকেস কোরিয়া দুই দেশের ব্যবসায়ীদের একটি মেলবন্ধন ঘটাবে।

সর্বশেষ খবর